নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রূপচর্চা ও প্রসাধনের জন্য বিউটি পার্লারে যান না এমন ফ্যাশন অসচেতন বঙ্গললনা পাওয়া দুর্লভ। নারীদের বড় একটি কর্মের স্থানজুড়ে আছে বিউটি পার্লার। এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সীমিত আকারে হলেও ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জের আনাচে কানাচে।
আদিবাসী নারীদের পাশাপাশি বাঙালি নারীরাও বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়ে পার্লারের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পরিপাটিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার মাধ্যমে গৃহবধূ তথা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরাও হতে পারছেন স্বাবলম্বী। এমনই টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অধীন নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে বিনামূল্যে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন ২০২১ শুরু হয়ে এবছর ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে জাইকার সহযোগিতায় বিনামূল্যে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এতে দুইজন প্রশিক্ষক ২০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র ও সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়।
সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা অনেকেই কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ভূঞাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় থেকে ৬ মাস আগে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নেন নুসরাত জাহান। বর্তমানে তিনি অন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ ছাড়া, তার সঙ্গে যেসব নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাদের কেউ কেউ হোম পার্লার বা পার্লারের দোকানে কাজ করছেন।
প্রশিক্ষক নুসরাত জাহান বলেন, নিজেও এখান থেকে বিউটিফিকেশনের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। এখন আমি নিজেই প্রশিক্ষক। আমার দেখা অনেকেই এখান থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই হোম পার্লারে কাজ করছেন।
আরেকজন প্রশিক্ষক সাদিকুন নাহার প্রিমা বলেন, বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণে রূপচর্চা সংশ্লিষ্ট উপকরণ সম্পর্কে যেমন ফেসিয়াল, ব্লিচ, ম্যানিকিউর, পেডিকিউর, চুল কাটা, ভ্রু প্লাক, মুখ ম্যাসেজ, হেয়ার স্টাইল, বৌ সাজানো ইত্যাদি কাজে দক্ষতার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। যেকোনো অনুষ্ঠানে তারা সাজানোর কাজ করতে পারবেন। তবে প্রশিক্ষণটির মেয়াদ বাড়ানো হলে অনেক কিছু জানতে পারতো তারা।
Leave a Reply