নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘আর পারলাম না ভাই। আমার জীবন আর চালাই নিতে পারছি নারে ভাই। প্রতিটি মুহূর্ত যন্ত্রণার। মাহমুদ, অনেক ভালোবাসি ভাই তোকে। আমাকে মাফ করে দিস।
আমার সংসারটা শিলার বাবা, মা আর ওর ভাই নাহিদ নষ্ট করে দিছে। আমার কলিজার টুকরাকেও নিয়ে গেছে ওরা। প্রতিদিনের এই যন্ত্রণা কষ্ট থেকে এটা ছাড়া উপায় ছিল না। আমার অসহায়ত্ব আর চোখের পানিও ওদের কাছে হাসি-তামাশার মনে হয়েছে।
ভাই, বাবুকে দেখে রাখিস। আর পারলাম না । একটু একটু করে মরার চেয়ে একেবারেই মরে যাওয়া ভালো। তা-ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব। আমার আব্বা-মাকে মাফ করে দিতে বইলো ভাই। এভাবেই ছোট ভাই মাহমুদের কাছে চিরকুট লেখে আল আমিন (৪০) নামের এক বড় ভাই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আর সেই সুইসাইড নোটটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে পোস্ট করেছেন মাহমুদ। নিহত আল আমীন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের ইকবাল খানের বড় ছেলে। ত নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে শিলাকে বিয়ে করেন আল আমিন। সম্প্রতি তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আশরাফুল নামে তাঁদের দুই বছরের এক ছেলে রয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের পর নিজ সন্তানকে কাছে রাখতে না পারার হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। ওই অবস্থায় ১৭ ফেব্রুয়ারি ভাইয়ের কাছে সুইসাইড নোট লিখে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিষপান করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply