ক্রীড়া ডেস্কঃ সোমবার রাতে ঘোষিত হয়েছে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার জয়ীদের তালিকায়। সেখানে অবশ্য আর্জেন্টিনার জয়জয়কার। বর্ষসেরা খেলোয়াড়, বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা গোলরক্ষক এমনকি বর্ষসেরা সমর্থকের পুরস্কারও গেছে আর্জেন্টিনার ঝুলিতে।
২০২২ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের দৌড়ে ছিলেন লিওনেল মেসি, করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। ক্লাব ফুটবলে অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন বেনজেমা। সে কারণে জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অরও। ছিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলে। গিয়েছিলেন কাতারেও। কিন্তু ইনজুরির কারণে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান। এরপর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন। অন্যদিকে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। টানা দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ ছিল এমবাপ্পের সামনে। কিন্তু টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় এমবাপ্পেদের হারিয়ে শিরোপা জিতে নেন মেসি-ডি মারিয়ারা। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ দেওয়া মেসি জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
এদিকে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বসেরা করা তথা বিশ্বকাপের শিরোপা জেতানের পেছনের কারিগর ছিলেন লিওনেল স্কালোনি। তিনিও উপেক্ষিত হননি। সেরা কোচের দৌড়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলোত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলাকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন স্কালোনি।
বিশ্বকাপের ফাইনালে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে অনবদ্য এক সেভ করে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন রানার্স-আপ হওয়ার হাত থেকে। এরপর টাইব্রেকারে দারুণ দারুণ সব সেভ দিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। জিতেছিলেন গোল্ডেন গ্লাভস। এবার ফিফা দ্যা বেস্টে জিতেছেন বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন থিবাউট কোর্তোয়া ও ইয়াসিন বুনুকে।
এখানেই শেষ নয়, ২০২২ সালের সেরা সমর্থকের পুরস্কারও জিতেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
এদিকে নারীদের বিভাগে বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড আলেক্সিস পুতেয়াস। নারীদের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন ইংল্যান্ডের ম্যারি ইয়ার্পস। আর বর্ষসেরা নারী কোচ হয়েছেন ইংল্যান্ডের কোচ সারিনা উইম্যান।
ফিফা ফিফপ্রো বর্ষসেরা একাদশ
গোলরক্ষক: থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম ও রিয়াল মাদ্রিদ)।
ডিফেন্ডার: আশরাফ হাকিমি (মরক্কো ও পিএসজি), জোয়াও কানসেলো (পর্তুগাল ও বায়ার্ন মিউনিখ), ভার্জিল ফন ডাইক (নেদারল্যান্ডস ও লিভারপুল)।
মিডফিল্ডার: কেভিন ডি ব্রুইনা (বেলজিয়াম ও ম্যানচেস্টার সিটি), লুকা মদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদ), কাসেমিরো (ব্রাজিল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)।
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা ও পিএসজি), কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স ও পিএসজি), করিম বেনজেমা (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ) ও আরলিং হালান্ড (নরওয়ে ও ম্যানচেস্টার সিটি)।
Leave a Reply