টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে তৃতীয় সমাবর্তন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে তৃতীয় সমাবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি সভাপতিত্ব করেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন, সেণ্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্যা প্যারালাইজডের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা ও কো-অর্ডিনেটর ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. ফরহাদ হোসেন। পদক প্রদান নীতিমালায় পরিবর্তন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এবারের সমাবর্তন বয়কট করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, তৃতীয় সমাবর্তনে এবার এক হাজার ৭২৮ জন নিবন্ধন করেছেন। রোববার সকাল থেকেই তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে শুরু করেন। অনেকে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। তারা সমাবর্তনস্থলে ছবি তুলে, আড্ডা দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগ পর্যন্ত নানা খুনসুটিতে সময় কাটান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান তার মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সমাবর্তনে আসেন। তিনি জানান, কৃষক মা-বাবা অনেক কষ্ট করে তাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তাই এই দিনে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আগের দুটি সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী তিনটি শ্রেণিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও ডিনস পদক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনেছে।

পরিবর্তিত নীতিমায় স্নাতক ডিগ্রির ক্ষেত্রে ডিনস পদক দেওয়া হচ্ছে না এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে কোনো পদকের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সমাবর্তনে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ তত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ৫২ জন ছাত্র বর্তমানে শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করছেন।

এছাড়া বেশির ভাগ শিক্ষক পদক নীতিমালার পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তাদের অনেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহন করেন নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দুইজন শিক্ষার্থী ও ভাইস চ্যান্সেলর পদক পাচ্ছেন তিন জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার হাজার ৪৩৩ জন বিএসসি (অনার্স) মাস্টার্সের শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থী সনদ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap