নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিদ্যালয় আছে। কিন্তু নেই শহীদ মিনার। তাই ২১শে ফেব্রুয়ারিতে হয় না তেমন কোনো আয়োজন। কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিশুরা প্রতি বছর এ বিশেষ দিনে প্রভাত ফেরিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে না পেরে ফিরে যায়।
অপরদিকে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও শহীদ মিনার স্থাপন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। যদিও সরকারি নির্দেশ অনুয়ায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।
১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৬২নং চর কয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি শহীদ মিনার। এতে শিক্ষার্থীরা জানাতে পারছে না ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।
এদিকে, ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেও এবারো সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চর কয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া সাথী খাতুন ও গোলাম রাব্বী জানায়, আমাদের এ স্কুলে শহীদ মিনার নেই, তাই ফুলও দিতে পারি না। শহীদ মিনার না থাকার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারি না।
চর কয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাগরিকা সরকার জানান, টাকার অভাবে শহীদ মিনার করতে পারিনি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বারবার বলার পরও তিনিও কোনো উদ্যোগ নেননি। উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানালেও সেখান থেকেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মো. মঞ্জনু মণ্ডলকে একাধিবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এমজি মাহমুদ ইজদানী জানান, সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে সরকারিভাবে নির্দেশনা এসেছে, তাই দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply