নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে বীর শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার। কাজ শুরুর দীর্ঘ ৯ বছর পর দৃষ্টিনন্দন এমন একটি স্মৃতিবিজড়িত শহীদ মিনার নির্মাণ করায় আনন্দিত এলাকাবাসী।
শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণকারী মির্জাপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার নাহিদ জানান, তার গ্রামে নেই স্কুল-কলেজ এমনকি একটি শহীদ মিনার। পরে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু অর্থাভাবে কাজটি কিছুদিন পর থেমে যায়। বিষয়টি স্থানীয় প্রয়াত এমপি মো. একাব্বর হোসেনের ছেলে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে জানানো হলে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করেন। কোনো রাজমিস্ত্রির সহযোগিতা ছাড়াই এলাকার ছাত্র-তরুণদের নিয়ে টানা ৫ মাসে কাজটি সম্পন্ন করা হয়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব মিয়া বলেন, আমাদের অনেকদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হওয়ার আমরা খুশি। এখন জাতীয় দিবসগুলোতে আর কষ্ট করে আমাদের দূরে যেতে হবে না।
ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত জানান, আমি খুব আনন্দিত এতো সুন্দর একটি শহীদ মিনার দেখে। কোনো মিস্ত্রি ছাড়া শহীদ মিনার নির্মাণ করে একটি নজির সৃষ্টি করলো ছাত্রলীগের ভাইয়েরা। দেশপ্রেম থেকেই এ কাজটি করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
গতকাল রোববার বিকেলে বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত।
শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর এলাকার সকলের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। পরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে বক্তৃতা করেন, ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম, সহ-সভাপতি শেখ রাসেল হাসান রকি, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুজন খান, ভাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাতুল মৃধাসহ প্রমুখ।
Leave a Reply