নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকারি কর্মচারীরা নতুন পে-স্কেল পেতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন বেতন কাঠামোতে যাতে কোনো অসমতা না থাকে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে বেতন বৈষম্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদ শেষ হতে এখনো প্রায় দুই বছর বাকি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষদিকে হওয়ার কথা আছে। এ বিষয়টি সামনে রেখে অর্থ বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কাজ করছে।
গত ১৩ বছরে টেকসই উন্নয়নের বেশকিছু সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ থাকলেও সুশাসন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে নানা সমালোচনা আছে। বিশ্বজুড়ে টানা দুই বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। এ সময়ে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। অন্যদিকে, বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশের আয় বেড়েছে বহুগুণ। এতে দেশে আয় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এ ধরনের অসমতায় চরম সংকটের মুখে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা। এরই মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের আয় খুবই সীমিত ও স্থির। এজন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রয়োজন। তবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আশা করছি, আগামী নির্বাচনের আগে সরকার নতুন বেতন কাঠামো দিতে পারবে।’
সর্বশেষ বেতন কাঠামো ২০১৫ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল, যা এখনো কার্যকর আছে। সরকারি কর্মচারীরা মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন বেতন কাঠামো দিয়ে সরকার তাদের খুশি রাখতে চায়। তারা মনে করেন, বেতন বাড়ালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনে উদ্দীপনা সৃষ্টি হতে পারে।
Leave a Reply