নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদদের আত্মত্যাগে আজ বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বেই আমাদের সব যুগান্তকারী আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে। অবশেষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি।’
মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সব ভাষা সৈনিকের অবদানের কথাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি একই সঙ্গে এ স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তৎকালীন কানাডা প্রবাসী রফিক, সালামসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা, বিশেষ করে প্যারিসে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত (এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্ত) প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে সৈয়দ নাজিব মুস্তাফা আলী। এছাড়া, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ নিজেদের মাতৃভাষায় অনুভূতি প্রকাশ করে ভাষা শহিদদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তাদের দেওয়া বাণী অনুষ্ঠানে পড়ে শোনানো হয়। এছাড়া, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে বাংলাদেশ মিশনগুলোর প্রধানগণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ শোভাযাত্রাসহ ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রাঙ্গণে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
Leave a Reply