টাঙ্গাইলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ আতঙ্কে ব্যবসায়ী ও তার পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের মৈশা গ্রামে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর এস এস প্লাস্টিক ডোর ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী মো.শাহীন আলম এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী মো. শাহীন আলম বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখে সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত মৈশা মৌজার সাড়ে ৪৬ শতাংশ চাষের জমি আমার নিকট বিক্রির প্রস্তাব করে। যাহার বিক্রি মুল্যে নির্ধারিত হয় ৫ লাখ ৭৭ হাজার সাত শত টাকা। ওই দিনই ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করিয়া ও ৫২ হাজার ৭’শ টাকা বাকি রাখিয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মজনু সরকার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পঞ্চতারা বেগমের স্বাক্ষীতে উক্ত জমির বায়না পত্র সম্পন্ন করি। উক্ত জমির বায়না সম্পন্ন হওয়ায় ওই জমির উপর আর এস এস প্লাস্টিক ডোর ফ্যাক্টরি স্থাপন করি। বর্তমানে এই ফ্যাক্টরিতে ৩০ জন শ্রমিকের কর্মরত আছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৭ বছরেও তোফাজ্জল হোসেন তোফা তার বায়নাকৃত সম্পত্তি আমাকে রেজিস্ট্রি দলিল না করিয়া দিয়া, নানান তালবাহানা করে আসছে। উপরন্ত জমি রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় তোফাজ্জল হোসেন তোফা তার ক্যাডার বাহিনীর প্রধান ফরিদসহ বেশকিছু সন্ত্রাসী আমার প্রতিষ্ঠানে আসিয়া প্রাণনাশ ও গুম করিয়া ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বাঁশের খাম দিয়া সন্ত্রাসী ফরিদ আমাকে মারতে উদ্যত হয়। আমার ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। পরে উক্ত জমি রক্ষায় গত ৫ মার্চ টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়ায়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এছাড়া টাঙ্গাইল সদর থানায় জীবন রক্ষার্থে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি)করতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাবে উক্ত জিডিটি গ্রহন করেননি।

তিনি বলেন, আমার ওই ফ্যাক্টরিটি ব্যাংক ও ব্যাক্তিগত পর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে স্থাপন করেছি। বর্তমানে ওই আ’লীগ নেতার ভয়ে আমি ও আমার পরিবার এলাকা ছাড়া হওয়ার ফ্যাক্টরিটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে থাকায় ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের জীবন রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মো. শওকত আলী, স্থানীয় মাতাব্বর আজিবর দেওয়ান, তায়েজ উদ্দিন, সামাদ মিঞা, আবু হানিফ ,আব্দুল মান্নানসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap