রাজশাহীর বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার, দ্রুত মুক্তির দাবি

বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন মন্ডলকে একটি ষড়যন্ত্র মূলক চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

(২৪ফেব্রয়ারী) বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার দিকে উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাগমারা থানা পুলিশ তাকে ঝিকরা বাজার থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলায় প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন মন্ডলকে গ্রেফতার করায় বাগমারা প্রেসক্লাবের পক্ষে তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অব্যাহতি প্রদানেরও দাবী জানানো হয়েছে।

জানাগেছে, উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের শালমারা বিগোপাড়া এলাকার ইটভাটার মালিক জনৈক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে রাজশাহীর আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক আলতাফ হোসেন মন্ডল দিনে দুপুরে উক্ত ইট ভাটার ম্যানেজারের গলায় চাকুধরে হত্যার হুমকি প্রদান করে। চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ইট ভাটার ম্যানেজার ২০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়। দিনের বেলায় জনসম্মুখে এমন মিথ্যা চাঁদা দাবীর ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবী করেন উপজেলার সাংবাদিক বৃন্দরা। এই মামলায় আগে সাংবাদিক আলতাফ হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি সাজানো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় ইটভাটার মালিকসহ তার সহযোগীরা। বিষয়টি আলতাফ হোসেন মন্ডলের নজরে আসলে ওই সকল ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ওই মামলা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পাল্টা আলতাফ হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক মামলাটি করা হয়। নিদিষ্ট সময় বিজ্ঞ আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ তাকে (আলতাফ হোসেন মন্ডল) কে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে আলতাফ হোসেন মন্ডলের দায়েরকৃত মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোনা জারী হওয়ার পর জামিন নিতে গেলে ওই মামলার নথি খুঁজে পাননি বিজ্ঞ বিচারক। পরবর্তীতে আবারো জামিন আবেদন করেন আলতাফ হোসেন মন্ডল। গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী হওয়ার পরও ওই দিনেও তাকে জেল হাজতে নেন নি বিজ্ঞ আদালত। ওই মামলায় তৃতীয় বারের মতো জামিনের আবেদন প্রস্তুতি নেন সাংবাদিক আলতাফ হোসেন মন্ডল। কিন্ত সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

এদিকে সাংবাদিক আলতাফ হোসেন মন্ডলের পরিবারের দাবি একটি মহল ইটভাটার মালিককে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করিয়েছে। মহলটির রোষানলের শিকার সাংবাদিক আলতাফ হোসেন মন্ডল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap