টাঙ্গাইলে ছিলিমপুর ইউনিয়ন যুবদল পকেট কমিটি না মেনে সদস্য সচিবের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছিলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের নবগঠিত আহবায়ক পকেট কমিটি না মেনে সদস্য সচিব থেকে মামুন আল রশিদ পদত্যাগ করেছেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত পদত্যাগপত্রের স্বাক্ষরিত কপি সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে নবগঠিত কমিটি নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। এই নবগঠিত যুবদলের আহবায়ক কমিটি নিয়ে পকেট কমিটি ও অর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ছিলিমপুর ইউনিয়নবাসীর অভিযোগ।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ঘোষিত টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছিলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি নিয়ে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার কবিরুজ্জামন কবির ও সদস্য সচিব ইকবাল তালুকদার স্বাক্ষরিত কমিটি নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। কমিটিতে রাজপথে পরীক্ষিত অনেক নেতাকর্মীকে অবমূল্যায়ন এবং পকেট কমিটি ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

সদর উপজেলা ছিলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের ২৪ফেব্রুয়ারি ১৫সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটির অনুমোদন করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা যুবদল। কমিটিতে নাদিম মাহমুদকে আহবায়ক ও মো. মামুন আল রশিদকে সদস্য সচিব করে ১৫সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন হয়।

কমিটি আত্মপ্রকাশের পরপরই এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছিলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোরহাব আলী মাষ্টার ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম। তারা বলেন, এ কমিটি করার আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দের মতামত এবং মরামর্শ ছাড়াই সম্পুর্ণভাবে সকলের অগচরে ছিলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে। অযোগ্য লোকদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।

কমিটিতে যাদের স্থান দেয়া দেয়া হয়েছে তাদের ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির যথেষ্ট আপত্তি এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তারা ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা করেছে এবং অনৈতিক আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে। অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে সদর উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দের যোগসাজশে এ রকম পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ বলে আমরা মনে করি। আমরা যুবদেলর এ পকেট কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি। অগঠনতান্ত্রিক কমিটি বাতিল করে ইউনিয়ন বিএনপিসহ নেতৃবৃন্দের মতামত এবং পরামর্শের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের জোর দাবি জানাই।

নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মামুন আল রশিদ বলেন, সদর উপজেলা ছিলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে আমাকে সদস্য সচিব করেছে। তিনি জানান, স্থানীয় সিনিয়র বিএনপি নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে আমার অগচরে করা হয়। যা স্থানীয় বিএনপির কোন নেতা কর্মীরা গ্রহণ করেনি। আমিও বিএনপির আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে এই পকেট কমিটি মেনে নিতে পারি না। নতুন ঘোষিত কমিটি মেনে না নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এই কমিটি বাতিলেরও দাবি করেন ইউনিয়ন যুবদলের এই নেতা। তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদত্যগপত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে সদর থানা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার কবিরুজ্জামান কবির বলেন, যারা সদর উপজেলা যুবদলের বিপক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা বিএনপিকে ভালোবাসে না। পকেট কমিটি ও আর্থিক লেনদেনরেও আভিযোগ করেছে আমাদের নামে। এ ব্যাপারে বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানে আমাদের ব্যাপারে কতটুকু মিথ্যে না সত্য ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap