মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
সন্তান বিক্রি করে মোবাইল-গহনা কিনলেন মা, উদ্ধার করলো পুলিশ মধুপুরে নওমুসলিমের বাড়ি ভাঙায় বিক্ষোভ ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কালসাপ ও সন্ত্রাসী আখ্যা দেন মধুপুরের ইউএনও মধুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিউটি পার্লারের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মধুপুরে মহিলাদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করলেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী মধুপুরে দৃশ্যমান হলো ইসলাম শিক্ষা পাঠাগার মধুপুরে নেশাগ্রস্ত ছেলের হাতে মা খুন আদম বেপারীর খপ্পরে অসহায় মধুপুরের দেলোয়ার হোসেন ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ আহত  মধুপুরে শুরু হলো দেশের প্রথম বনভূমির সীমানা চিহ্নিতকরণ

সখীপুরে ১ বছরে মাত্র ৫৪ দিন ক্লাস নিয়েছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষিকা জেবুন নাহার শিলা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার পশ্চিম কালিদাস পানাউল্লা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে ২০২৩-এর ২৪ জানুয়ারি যোগদান করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার। গত এক বছরে তিনি ক্লাস নিয়েছেন মাত্র ৫৪ দিন।

স্কুল শিক্ষকের নাম জেবুন নাহার শিলা। শিলা’র বর্তমান পরিচয় তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই শিক্ষক নিয়মানুযায়ী ক্লাসে না আসায় ব্যহত হচ্ছে স্কুলের লেখাপড়া।

তারা বলছেন, এই শিক্ষক স্কুলে যোগদানের পর থেকেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকছেন। এমনকি ছাত্রত্ব শেষ হলেও থাকছেন ইডেন  কলেজের আয়েশা সিদ্দিকা হলের ৩০১ নম্বর কক্ষে। ছাত্রলীগের কলেজ ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে প্রায়ই দেখা যায়। সরকারি চাকরি করার পরও সব নিয়মের তোয়াক্কা না করে রাজনীতির মাঠেই ব্যস্ত তিনি। মিটিং-মিছিল বাদ দিচ্ছেন না কিছুই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা উপলক্ষে ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেকে তিনি ইডেন কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও প্রথম ভোটার দাবি করেন। অথচ তিনি ইডেন কলেজ থেকে ২০১৪ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন ও ২০১৩ সালে জাতীয় ভোটারের তালিকাভূক্ত হন। ভোটার আইডি কার্ডে শিলার জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৯২ সাল।

পানাউল্লা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক জানায়, শিলা ম্যাডাম কিছুদিন আমাদের ক্লাস নিয়েছেন। এখন আর স্কুলেই আসেন না।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মির্জা সুলতান মাহমুদ বলেন, অনুপস্থিত ওই শিক্ষকের ক্লাস আমরা পাঁচ শিক্ষক ভাগ-বন্টন করে নিয়েছি। যাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর একজন শিক্ষক জানান,শিলা ম্যাডাম না থাকায় আমাদের উপর চাপ পড়েছে, অনেক কষ্ট করে ক্লাস নিচ্ছি, ৬ জন শিক্ষকের ক্লাস ৫ জনে নিচ্ছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক জেবুন নাহার শিলা বলেন, নিয়ম মেনেই চলছি আমি, মেডিক্যাল ছুটিতে রয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রথম ভোটার দাবি করার বিষয়ে শিলা আরও বলেন, এই ধরনের তথ্য খুঁজে কোনো লাভ নেই, আমি কেন্দ্রীয় রাজনীতি করি তাই ভার্চুয়াল জনসভায় টাঙ্গাইলকে রিপ্রেজেন্টিভ করেছি।

জেবুন নাহার শিলার যোগদানের পর থেকে এক বছরে মাত্র ৫৪ দিন ক্লাস নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধীরেন চন্দ্র সরকার।

তিনি জানান, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক শিলা আর স্কুলে আসেননি। এছাড়াও তিনি স্কুলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখেননি। রাজনৈতিক কোনো চাপ আছে কি-না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই মাস পরপর শুধু চিকিৎসার জন্য  ছুটির আবেদনে স্বাক্ষর করেছি।

এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

তার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্নে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, কমিটি গঠনের সময় হয়তো শিলার ছাত্রত্ব সঠিক ছিলো। পরবর্তী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তবে শিলার আবাসিক হলে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বৈধতার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

গঠনতন্ত্রে কোনো চাকরিজীবীর স্বপদে বহাল থাকার বিধান আছে কি-না, জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শিলা ওই চাকরি থেকে অব্যহতি নিয়েছেন বলে আমরা জানি। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরেও ছাত্রলীগের সদস্য পদে থাকা বৈধ কি-না, এ বিষয়ে ইনান বলেন, ওই নেত্রী ইডেনে মাস্টার্স শেষ করে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সে মাস্টার্স করছেন বলে অবগত রয়েছি। অন্যথা হলে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখবো।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, মেডিক্যাল ছুটি কাটাচ্ছেন শিলা। তবে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নানা অজুহাতে অনুপস্থিত থাকা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102