মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুরে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা অভিযোগে সৎপিতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মধুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল আজাদের মতবিনিময় মধুপুরে অ্যাড. মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা   মধুপুরে খাদ্য সংকটে গারো জনপদে বানরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে মধুপুর ফল্টে ভূমিকম্পে কোটি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা মধুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু মধুপুরে এক প্রতারক গ্রেফতার টাংগাইলের ৪টি আসনে বিএনপির হ-য-ব-র-ল অবস্থা!!! মধুপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের মানববন্ধন মধুপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া–পালটা ধাওয়া ও ভাঙচুর

টাঙ্গাইলে আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক স্থাপনা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে একের পর এক গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক স্থাপনা। আবাসন ভবনের অনুমোদনের বাইরে বাণিজ্যিক স্থাপনার পাশাপাশি নির্মাণ করা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। অন্যদিকে, ব্যক্তি মালিকাধীন প্লটের বাইরে গিয়ে সড়কের একাংশ দখল করে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে কেউ কেউ। তবে প্রতিটি আবাসিক এলাকায় কি পরিমাণ নকশা বহির্ভূত ভবন বা অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তার সঠিক হিসাব নেই টাঙ্গাইল পৌরসভার কাছে। পৌরসভার চরম উদাসিনতায় আবাসিক এলাকায় অনুমোদনের বাইরে গিয়ে এভাবে অপরিকল্পিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন টাঙ্গাইল পৌরবাসি।

বেসরকারি তথ্য মতে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌর শহরের কলেজ পাড়া, আদালত পাড়া, আকুরটাকুর পাড়া, রেজিস্ট্রিপাড়া, সাবালিয়া, ছোট কালিবাড়ি, পলাশতলীসহ অন্যান্য আবাসিক এলাকায় অনুমোদনের বাইরে অবৈধভাবে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাণিজ্যিক ও ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে সিগারেটের ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস থেকে শুরু করে ব্যাংক, রড-সিমেন্টের দোকান, বোতলজাত সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রির দোকান, রেস্ট হাউস, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, গার্মেন্ট, বিভিন্ন শো-রুম, ছোট-বড় বিভিন্ন কারখানাসহ অনেক ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া স্থায়ী বাণিজ্যিক স্থাপনার পাশাপাশি সড়কের দুইপাশে অস্থায়ীভাবে কাঁচামাল, নিত্যপণ্য, শাকসবজি ইত্যাদি কেনাবেচার কার্যক্রমও ব্যাপকতা পেতে পারে। ফলে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।

আকুরটাকুর পাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, আবাসিক এলাকার পরিবেশ সাধারণত অনেকটা নিরিবিলি ও নিরাপদ থাকে। অথচ এই আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীনভাবে গড়ে উঠেছে বহুবিধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, আমরা দেখছি আবাসিক এলাকায় অনুমোদনের বাইরে অনেকে গৌর ঘোষের মিষ্টির কারখানাসহ বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এসবের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ও শিশু-কিশোরদের খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও অপরিকল্পিতভাবে আবাসিকে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠায় আবাসিকের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। রেজিস্ট্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর পারভেজ বলেন, আমাদের আবাসিক এলাকগুলোতে অবৈধভাবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব স্থাপনা এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় পৌরসভাকে জানিয়েছি। কিন্তু পৌরসভা কোন উদ্যোগ নিতে আজ পর্যন্ত দেখি নাই।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে আবাসিক এলাকাগুলোর তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবাসিক এলাকাগুলোর তথ্য হালনাগাদ করার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পরিকল্পিত আবাসিক এলাকায় কারা নকশা বহির্ভূতভাবে স্থাপনা গড়ে তুলেছে, আমরা তাদের তালিকা করছি। এরপর সেসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102