মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :

ভূঞাপুরে রাস্তা ছাড়াই কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তা ছাড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে ব্রিজ নির্মাণের পর দুইপাশে রাস্তাও করা হবে। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পশ্চিম কয়েড়া গ্রামের মন্তার বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোবিন্দাসী-নিকরাইল সড়কের পশ্চিম কয়েড়া এলাকায় খালের উপর নির্মাণ ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও বর্তমানে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন। যেখানে ব্রিজটির কাজ হচ্ছে তার আশপাশে কোন রাস্তা নেই। এছাড়া ব্রিজটির পশ্চিম পাশে তেমন কোন বসতিও নেই। খালের উপর নির্মাণ হওয়া এই ব্রিজের পশ্চিম পাশে নিকরাইল ইউনিয়ন। আর ব্রিজের কাজ হচ্ছে গোবিন্দাসী অংশে।

ভূঞাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় উপজেলার পশ্চিম কয়েড়া এলাকার মন্তার বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর ১২ মিটার দৈর্ঘ্যর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য গত বছরের (২ আগস্ট) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাশ ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। এতে ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ টাকা। এতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছরের (৩১ জানুয়ারি) কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ দুইমাস পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের কাজ অর্ধেকও করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়রা জানান, খালের পশ্চিম পাশেই চর। বসতি তেমন নেই। তবে বর্ষার সময় চরে যেতে বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে যেতে হয়। তবে বর্ষা ছাড়া খালে পানি থাকে না। অনেক স্থানে রাস্তা তৈরি করায় খালটি এখন মৃত প্রায়।

ঠিকাদার আব্দুল বাছেদ জানান, খালে পানি থাকার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। ব্রিজের সাথে ১০০ মিটার রাস্তার কাজ করা হবে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, খালের পশ্চিমে বসতি রয়েছে। ওই এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকোতে খাল পার হতো। এছাড়া চরের আবাদি জমির ফসল আনার জন্য মানুষকে কষ্ট ভোগ করতে হয়। জনদূর্ভোগের কারণে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্প নিয়ে রাস্তার কাজ করে দেয়া হবে।

ভূঞাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের নির্মাণের কাজের সাথে ৭০-৮০ মিটার রাস্তা কাজ করবে ঠিকাদার। অবশিষ্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্প দিয়ে রাস্তা বানানোর কাজ করবেন।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান, রাস্তা অবশ্যই হবে সেখানে। ব্রিজের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও আরো বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102