মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংকের আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছে গ্রাহকরা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ২১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ম্যানেজার কর্তৃক সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার সঞ্চয়পত্রের আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এর আগে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৩ মার্চ) সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখা কার্যালয় থেকে এই টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হয়। এতে ৮৪ জন গ্রাহকের মধ্যে ৫৭ জনকে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

গ্রাহক মর্জিনা বেগম বলেন, সোনালী ব্যাংকে ২১ লাখ টাকা রেখেছিলাম। টাকাগুলো কৌশলে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছিল। পরে অনেক আন্দোলনের পর টাকাগুলো ফেরত পেয়েছি।

আরেক গ্রাহক ববিতা রানী বলেন, ভাবছিলাম টাকা ফেরত পাব না। কিন্তু অবশেষে আমার জমাকৃত ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। আত্মসাতের টাকা ফেরত পেয়ে ভালো লাগছে।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মসাতের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ৫৭ জন গ্রাহকের ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৮৪ জন গ্রাহককে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের গোবিন্দাসী শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দেয়। পরে গ্রাহকরা একাধিকার ব্যাংক ঘেরাও, মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিসহ ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তদন্তপূর্বক প্রায় ৯ মাস গ্রাহকদের মাঝে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

শহিদুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় ২০২০ সালে যোগদান করে। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর ২ মাস কাজ করেন সেখানে। এই দীর্ঘ সময়ে শহিদুল ইসলাম কৌশলে ব্যাংকের ১৩০ জনের সঞ্চয়পত্রের ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা লুজ চেকের (জরুরি উত্তোলনের জন্য একক পাতা) মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ভাতার ৬ লাখ ৮১ টাকাও গায়েব করা হয়।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের তালুকদার এগ্রো ফার্ম ও কালিহাতী উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামের খালেদা বেগম নামে পলাশ এগ্রো ফার্মের অ্যাকাউন্টসহ তার বন্ধু বান্ধবদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights