মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুরে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা অভিযোগে সৎপিতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মধুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল আজাদের মতবিনিময় মধুপুরে অ্যাড. মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা   মধুপুরে খাদ্য সংকটে গারো জনপদে বানরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে মধুপুর ফল্টে ভূমিকম্পে কোটি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা মধুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু মধুপুরে এক প্রতারক গ্রেফতার টাংগাইলের ৪টি আসনে বিএনপির হ-য-ব-র-ল অবস্থা!!! মধুপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের মানববন্ধন মধুপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া–পালটা ধাওয়া ও ভাঙচুর

ভূঞাপুরের ডা. হরিশংকর দাশ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের সন্তান চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হরিশংকর দাশ (৭৪) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। পদক পাওয়ার খবরে উপজেলাজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. হরিশংকর দাশ ও তার বড় ভাই শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শংকর দাশ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. শংকর দাশের নাম রয়েছে।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হরিশংকর দাশ উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা গোপাল গ্রামের ইন্দু ভূশন দাশের ছেলে। ডা. হরিশংকর দাশের বড় ভাই শিক্ষাবিদ শংকর দাশ ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ডা. হরিশংকর নিকলা দড়িপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পাশ করা পর ১৯৬৬ সালে কালিহাতীর নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি পাস করার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএসে ভর্তি হন। পরে ১৯৭৪ সালে এমবিবিএস পাস করার নিজ উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ওই বছরেই বদলি হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে যোগদান করেন। পরে সেখান থেকে ১৯৮১ তাকে পদোন্নতি দিয়ে বরিশাল হাসপাতালে বদলি করা হয়। কিন্ত সেখানে তিনি যোগদান না করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য ১৯৮২ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনাতে যান। সেখান থেকে তিনি চোখের চিকিৎসার উপর ডিও এবং এম.এ.এম.এস ডিগ্রী লাভ করেন। পরে ভিয়েনা থেকে ফিরে ময়মনসিংহ গিয়ে তার ছোট মেয়ে পারমিতার নামে ময়মনসিংহ চরপাড়ায় চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাসেবা দেন। এই হাসপাতালে প্রতিদিন তিনি এক ঘন্টার জন্য ফ্রি চিকিৎসা দিতেন রোগীদের। এছাড়া তিনি তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবছর ফ্রি ক্যাম্প করে রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দিতেন। এরমধ্যে তিনি ভারতের মহারাষ্ট্র থেকেও চোখের উপর ডিগ্রী নেন।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হরিশংকর দাশ বলেন, যে কোন পুরস্কার ও প্রাপ্তি আনন্দ দায়ক। মানুষের সেবা করার জন্য চেষ্টা করেছি। এই প্রাপ্তিতে হয়তো সেটাই প্রতিফলিত। আমৃত্যু মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই এটাই প্রত্যাশ্য।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102