নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ২০১৪ সালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার তালতলা গ্রামে গড়ে ওঠে অনুসন্ধান একাডেমিক স্কুল নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই প্রশংসার সাথে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন। দরিদ্রতাকে উপেক্ষা করে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজের পড়াশোনা শেষ করেন জালাল।
পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না খুঁজে অবহেলিত গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াতে প্রতিষ্ঠা করেন অনুসন্ধান একাডেমিক স্কুল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষিত করে তোলার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া। মাত্র কয়েকজন শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তাদের রয়েছে ১৪০ জনের অধিক শিক্ষার্থী। নিজের স্কুলে চাকরি দিয়েছেন গ্রামের ১১ জন বেকার যুবককে।
অনুসন্ধান স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল মাঠে আনন্দে ছুটে বেড়ানো, স্বতঃস্ফূর্ত অধ্যয়নরত একঝাঁক শিক্ষার্থী। শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি ও অংকনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থের অভাবে কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে না পারা এমন শিশুও এখানে বিনামূল্যে পাঠদান নিচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম রেজাউল আলম আরজু জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অঞ্চলে শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার ও বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখে চলছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে প্রাইমারি লেভেলে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন বলেন, পড়াশোনা শেষ করে বাড়ির আঙিনায় নিজেদের জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলি। সকলের সহযোগিতায় এর পরিধি আরো বৃদ্ধি করতে সবার সহযোগিতা কামনা করি।