নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রাক্তন স্বাস্থ্য পরিদর্শক কাজী আশরাফুল আলম খুনের ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল-র্যাব-১৪ ও মির্জাপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কাজী আশরাফুল আলমের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার ছেলে প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ। মির্জাপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কহিনুর বেগমকে এবং টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ সদস্যরা বুধবার (৩ এপ্রিল) কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই ভাই কাজী আশরাফুল আলম ও কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত ঝগড়া চলছিলো। বিষয়টি কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের ছেলে প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ জানতে পেরে রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে বাড়ি আসেন। সন্ধায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাচা কাজী আশরাফুল আলমের পরিবারকে গালিগালাজ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে ইফতারের আগ মুহুর্তে আশপাশের বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে কাজী আশরাফুল আলম এশার নামজ শেষে নাতি মারুফকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি আসে। এসময় পলাশ পেছন থেকে তাকে শুকনা মরিচের গুড়া মেশানো পানি ছুড়ে মারে। কাজী আশরাফুল আলম মরিচের যন্ত্রনায় ছটপট করতে থাকে। পরে পলাশ তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ভোর চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল আরিফ বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে মামলা করেন।
আরো পড়ুনঃ মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে মামলার আসামী কহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদী ইসলাম বলেন, বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকা থেকে কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।