নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলায় আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। তবুও উন্মুক্ত নির্বাচনের হাওয়ায় জমে উঠেছে উপজেলাগুলো।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- স্থানীয় এমপি সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের আপন খালাতো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জরুল ইসলাম তপন (দোয়াত কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ (মোটরসাইকেল), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান রনি (আনারস) ও সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল ইসলাম (হেলিকপ্টার)।
এ উপজেলায় স্থানীয় এমপি তার খালাতো ভাই হীরাকে সমর্থন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি লিখিত আকারে অবহিত করেছেন।
মধুপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু (দোয়াত কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী (আনারস) এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মীর ফরহাদুল আলম (মোটরসাইকেল)।
অভিযোগ উঠেছে এ উপজেলায় স্থানীয় এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাক তার অনুসারী অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলীকে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দিয়েছেন।
এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। ছরোয়ার আলম খান আবুর সঙ্গে রয়েছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি। কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় এমপির অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধের প্রভাব পড়বে এ নির্বাচনে।গোপালপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোমেন (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কেএম গিয়াস উদ্দিন (দোয়াত কলম), সাবেক সভাপতি শামসুল আলম (আনারস) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামীম আল মামুন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় অপর প্রার্থী মারুফ হাসান জামি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন (দোয়াত কলম) বলেন, জনগণের ভোটের মাধ্যমেই আমি বিজয়ী হব। আরেক প্রার্থী মেহেদী হাসান রনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। তাই ভোটার আমাকেই ভোট দেবেন। মধুপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছারোয়ার আলম খান আবু বলেন, উন্মুক্ত নির্বাচনে জনগণ প্রভাবমুক্ত হয়ে ভোট উৎসবে অংশ নেবে। তাই আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।