নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বীরবাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোহরাব আলীর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কস্তুরিপাড়া বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কালিহাতী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম।
ব্যবসায়ী শরিফুল জানান, কস্তুরিপাড়া মৌজার হাল ২১৬৩ দাগে জয়নাল আবেদীনের তিন ছেলে মুছা মিয়া, শুকুর মাহমুদ, মিনহাজ শিকদার ও দুই মেয়ে শহর ভানু ও খোদেজা বেগমের ১৪ শতাংশ জমির মধ্যে শুকুর মাহমুদ ও মিনহাজ শিকদার তাদের অংশের জমি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে বিক্রি করেন। মুসা মিয়া, শহরবানু ও খোদেজা বেগমের জমি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে বিক্রি না করলেও পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছোহরাব আলী তাদের অংশের জমি অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার জন্য তাদের জমি সামনে রেখে ঘর নির্মাণ করে এবং তাদের অংশের জমিতে বালি ফেলে ভরাট করে। এ বিষয়ে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদমান জমিতে কোনও প্রকার স্থাপনা নির্মাণের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছোহরাব চেয়ারম্যান জমি ভরাট করে একটি ঘরও নির্মাণ করেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ১৪৪ ধারা অমান্য করে আমাদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করে ছোহরাব চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।
শরিফুল আরও জানায়, আমি খাদ্য প্রস্তুতকারক কাজী ফুডস ও গোল্ডেন হারবেস্টের পরিবেশক। উক্ত জমিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি গুদাম ঘর রয়েছে। ইতিপূর্বে ছোহরাব ও তার লোকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। এ সকল বিষয়ে এবং জমির বিষয়ে সিভিল এবং দেওয়ানী আদালতে আমাদের বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে কালিহাতী আমলী আদালতের তৎকালীন সহকারী জজ তৈয়ব উদ্দিন বিবাদমান জমিতে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ প্রদান করেন, যা এখনো পর্যন্ত বলবৎ আছে। আদালতের এ আদেশকে অমান্য করে ছোহরাব চেয়ারম্যান তার লোকজনদেরকে নিয়ে দুপুরে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করিয়াছেন। এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আমি ও আমার পরিবার-পরিজনের যারা এ জমির অংশীদার সকলের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধাণের জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে বীরবাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোহরাব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জমির মধ্যে তাদের একটি একচালা ঘর ছিলো। যা আমরা ভেঙে দিয়েছি। এখানে তাদের কোনও জমি নেই।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান শেখ জানান, বিবাদমান জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ গত দুই মাস আগেই জারি করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থিতিবস্থা নষ্ট করে থাকলে আদালতকে জানালে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করবে। ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।