নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কাঠ চেরাই শ্রমিককে কুপিয়ে আহত করেছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। সে গয়হাটা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মকরম আলীর ছেলে মোহাম্মদ উজ্জল মিয়া (৪২)। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান আহত উজ্জল মিয়ার পরিবার। পরে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলী আদালতে একটি মামলা দায় করেন।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে উজ্জল মিয়া তার ছেলেকে বিদেশ পাঠাবে বলে শশুর বাড়ি থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মেইন রোড থেকে চকের মাঝখান দিয়ে সোজা বাড়ি যাওয়ার সময় গোপিনাথপুর আ. রশিদ মিয়ার মেশিন ঘরের সামনে গেলে পিছন থেকে দাড়ালো অস্র দিয়ে আঘাত করে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। এ সময় সূয্য মিয়া (২৩), আজাহার (২৪), মোজাহার মিয়া (২১) রাকিব মিয়া (২০) ও দূরে দাড়িয়ে থাকা লবু মোল্লাকে উজ্জল মিয়া চিনতে পারায় একের পর এক কুপাতে থাকে।
দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি ভাবে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত ভেবে ধান খেতে ফেলে রেখে টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে উজ্জল মিয়ার জ্ঞান ফিরে আসলে তার ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসে।
গ্রামবাসী রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, তাকে ধান খেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্বার করে অটো-রিক্সা যোগে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্মরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠান।
উজ্জলের পিতা মকরম আলী বলেন, পরের দিন আমি বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার পরেও নাগরপুর থানা পুলিশ তদন্তপুর্বক কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি। পরে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুজিসিয়াল ম্যাজিটেট্র নাগরপুর আমলী আদালতে আমার ছেলে উজ্জল মিয়া বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।