নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১লক্ষ ৮৪ হাজার ৭শত ৫৮ জন। তন্মধ্যে মধ্যে পুরুষ ৯৩৫৮৪ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ৯১১৭১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৩ জন। ৫৮ টি ভোট কেন্দ্রে ৩য় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মে। উপজেলা জুড়ে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রচারণা। প্রার্থীরা নিরলস নির্বাচনী প্রচারণার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। ভোট প্রার্থনা করতে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সময়ের সাথে সাথে প্রচারণার পট পরিবর্তন হচ্ছে। প্রচারণার প্রথম দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহুর্তে আলোচনায় চলে এসেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি এম. শিবলী সাদিক। ইতিমধ্যেই মাঠে তিনি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যাচাই বাছাইয়ে ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেলেও প্রতিদ্বন্দীতায় রয়েছেন ৬ প্রার্থী এ ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন আওয়ামীলীগ ঘরানার, ১ জন জেএসডির। বিএনপি মনা প্রার্থী জুয়েল সরকার তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়াই ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাড়িয়েছেন। মূলত ৬ প্রার্থীর মধ্যেই হচ্ছে প্রতিদ্বন্দীতা। তবে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে পূর্বাভাস পাওয়া যায় মূল লড়াইটা হচ্ছে উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এম. শিবলী সাদিক (টেলিফোন) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ (কাপ পিরিচ) এর সাথে। নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে প্রথমবার প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগ নেতা শিবলীর প্রতিই ঝুঁকছে সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ ৫ম উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. ফজলুল হককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেদিক থেকে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তৃণমূল আওময়ামীলীগ তার প্রতি বিমুখ।
এলাকার সুধীজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমনিতেই এ উপজেলায় বিএনপির তুলনায় আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক দুর্বল। সেখানে ৫ প্রার্থীই আওয়ামীলীগের নেতা। বিএনপির একটি বিশাল ভোট ব্যাংক যদি ভোট কেন্দ্রে যায় তবে এ বিশাল ভোট ব্যাংকই জয় পরাজয়ের ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে। কাজেই ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীরই নজর থাকবে বিএনপির ভোট ব্যাংকের দিকে। অন্য প্রার্থীরা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেএসডির জেলা সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান মিয়া (দোয়াত কলম), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার হামিম কায়েস বিপ্লব (ঘোড়া), সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিক (আনারশ), সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন (মোটরসাইকেল)।