মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

মির্জাপুরে এনএসআই পরিচালক পরিচয়ে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে একজন আটক

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম হারুন অর রশিদ। হারুন অর রশিদ উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের চুহাত্তর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে লুবনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হারুন অর রশিদ উপজেলার সিবিএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানান, ঢাকায় সচিবালয়ে তার ভালো চাকরি হয়েছে। এর কিছুদিন পর তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে নানা ধরনের প্রতারণা শুরু করেন।

নিজেকে কখনো এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক, আবার কখনো সচিবালয়ের বড় কর্মকর্তা দাবি করে লোকজনের কাছ থেকে চাকরি ও বড় ধরনের ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিতে থাকেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, হারুন অর রশিদ লোকজনকে ভুয়া পরিচয়পত্র দেখাতেন। বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে গ্রামের মানুষের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে স্থানীয় যুবকদের চাকরি দেওয়া ও ব্যবসার কথা বলে অন্তত ২৫ জনের কাছ থেকে ২ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন তিনি।

ঘুগী গ্রামের মনির নামের এক ব্যক্তি জানান, তার কাছ থেকে স্বর্ণের ব্যবসার কথা বলে ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

জামুর্কী গ্রামের মাহাফুজের কাছ থেকে ১২ লাখ, যোগীরকোফা গ্রামের জাকির হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার এবং ঘুগী গ্রামের জুলমতের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন চাকরির কথা বলে।

এভাবে তিনি বিভিন্ন সময় লোকজনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু কথামতো চাকরি না হওয়ায় এবং ব্যবসার লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে লোকজনের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁর কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানান।

এসবের মধ্যে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেন হারুন।

গত সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটী গ্রামে হারুন অর রশিদ তার এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যান। খবর পেয়ে কয়েকজন পাওনাদার সেখানে গিয়ে তাকে ধরে মির্জাপুর উপজেলার দেওড়া গ্রামে নিয়ে এসে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হারুন। বিষয়টি টের পেয়ে লোকজন তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। তবে সারা দিন পরও কেউ যোগাযোগ না করলে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে হারুনকে আটক করে নিয়ে আসে মির্জাপুর থানা পুলিশ।

এসআই রামকৃষ্ণ দাস জানান, হারুন অর রশিদকে নিয়ে আসার পর কয়েকজন পাওনাদার থানায় আসেন। তাদের মধ্যে মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে যৌথভাবে সোনার ব্যবসার কথা বলে ৭০ লাখ টাকা, জুলমত নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেন হারুন। এ ছাড়া লুবনা নামের এক নারীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা, জামুর্কী গ্রামের মাহফুজের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা, যোগিরকোফা গ্রামের জাকির হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ নানাজনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

অন্য কারো কথা না বললেও মনির হোসেনের কাছ থেকে ৪৬ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন হারুন অর রশিদ। তাকে গ্রেপ্তারের কথা শুনে পাওনাদাররা থানায় ছুটে আসছেন। এ ঘটনায় লুবনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ মামলা করেছেন বলে জানান।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights