নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামীকাল ২৯ মে ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হবে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারেও এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তাই এ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলাজুড়ে চলছে প্রার্থীদের ব্যাপক গণসংযোগ। মাঠপর্যায়ে চলছে তোড়জোড়। কোথাও কোথাও ঝগড়া বিবাদেরও খবর পাওয়া যাচ্ছে। সব কিছু ছাপিয়ে মাঠ ধরে রাখতে আয়োজন করা হচ্ছে কর্মিসভা, মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক। অনেকে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে বেছে নিয়েছেন। দলীয় প্রতীক নৌকা না থাকা এবং বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়নোর কারণে সরকারদলীয় প্রার্থীদের দাপুটে ভাব বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে ছয় প্রার্থীর মধ্যে এক জন জেএসডির আর পাঁচজন আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে বিএনপির ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ফেরাতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন প্রার্থীরা। বিএনপির ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন অনেকেই।
দেলদুয়ার উপজেলা আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে তিনজন।
বিএনপি মনা প্রার্থী জুয়েল সরকার (হেলিকপ্টার) কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে আভাস পাওয়া যায় মূল লড়াইটা হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইলে জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি এম শিবলী সাদিক (টেলিফোন) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফের (কাপ পিরিচ) সাথে।
এ দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মারুফ চঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে উপজেলা সভাপতি ফজলুল হককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অন্য প্রার্থীরা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেএসডির জেলা সভাপতি মতিয়ার রহমান মিয়া (দোয়াত কলম), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার হামিম কায়েস বিপ্লব (ঘোড়া), সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিক (আনারশ), সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন (মোটরসাইকেল)।
ভোটাররা মনে করছেন, এমনিতেই এ উপজেলায় বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক দুর্বল। সেখানে পাঁচজন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের। বিএনপির ভোটাররা যদি কেন্দ্রে যায় তবে এ বিশাল ভোট ব্যাংকই জয় পরাজয়ের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।