মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত টাংগাইলে মাওলানা ভাসানীর ছোট ছেলের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী এই দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছিল, আওয়ামী লীগ যা ইচ্ছা তাই করেছে টাংগাইলে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা মিছিল মির্জাপুরে টাকার অভাবে দৃষ্টিশক্তি নিভে যেতে বসেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সানজিদার নাগরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়!! নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ শেষ মধুপুরে আশা শিক্ষা কর্মসূচির ত্রৈমাসিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা নাগরপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজিতে একটি সিন্ডিকেট কালিহাতীর এলেঙ্গায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ৪ বিএনপি নেতা

টাংগাইলে হেরোইন দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে ডিবির এসআইএর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) এসআই কাওছার সুলতান হেরোইন দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। এছাড়া তিনি একই অভিযোগে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বন্যা বেগম (৩৬) নামে ওই নারী বলেন, তিনি কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাছ চিনামুড়া গ্রামের আফজাল শরীফের স্ত্রী। তিনি গ্রামের একজন সাধারণ গৃহবধূ। দুই মেয়ে, মা এবং স্বামী-স্ত্রী এই পাঁচজন নিয়ে তার সংসার। তার স্বামী মাদকাসক্ত-সংসারের কোন কাজকর্ম করেনা। তার একটি পিকআপ ও একটি আটোরিকশা গাড়ি আছে। ওই গাড়ি দুটির ভাড়া দিয়ে সেই টাকায় মেয়েদের স্কুল-কলেজের লেখাপড়া, স্বামীর হাতখরচ ও সংসারের খরচ সহ অতিকষ্টে জীবন-যাপন করে থাকেন।

তিনি বলেন, গত (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের এসআই এসএম কাওছার সুলতান (বিপি নং-৮৩০২০৭৯৯৫৫) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে কোন কথা না শুনে ঘরে ঢুকে পড়ে। ডিবির লোকেরা ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। তিনি আশপাশের লোক ডাকতে চাইলে তাকে বাধা দেয়। তারপরও তার চেচাঁমেচির শব্দ পেয়ে এলাকার মহিলারা বাড়িতে আসতে চাইলে তারা বাধা দেয়। শুধুমাত্র মুরুব্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানকে ঘরে ঢুকার সুযোগ দেয়। তার ঘরে ডিবির লোকেরা তল্লাসী চালিয়ে অবৈধ কোন কিছুই পায় নাই।

ঘরে ডিবির লোকেদের তান্ডবে তার স্কুলে পড়ুয়া শিশু মেয়ে সুচী ইসলাম ও কলেজে (অনার্স ১ম বর্ষ) পড়ুয়া মেয়ে লিজা আক্তার বর্ষা এবং তার মা ভয়ে কুকরে যায়। তিনি ডিবির লোকেদের হাতে-পায়ে ধরে কাকুতি-মিনতি করে বলেছেন-তিনি কোন অপরাধ করেন নাই। কোন রকম গ্রেপ্তারী পরোয়ানাও তার বা তার স্বামীর নামে নাই। তারপরও ডিবির লোকেরা তার স্বামী ও তাকে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। অত:পর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে টাঙ্গাইল শহরের রাবনা বাইপাসে এসে দুই লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দিবে বলে জানায়। কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকায় তিনি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ তাদেরকে উঠিয়ে নেওয়ার সময় এলাকার অনেক লোক দেখেছে। গোপনে তদন্ত করলে এলাকার মানুষ সেকথা জানাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে ওইদিন রাতে তাকে নিয়ে টাঙ্গাইল কোর্টের মাঠে এনে গাড়ি থামিয়ে আবারও টাকা এনে দিতে বলে। তারপর তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসে এবং তাদের উপর নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার নির্যাতন চলায়। তখন বাধ্য হয়ে তিনি তার মেয়ের মাধ্যমে এলাকার মানুষের কাছ থেকে ধার-কর্জ এবং তার পিকআপ গাড়িটি বন্ধক রেখে ডিবি পুলিশকে ৭০ হাজার টাকা এনে দেন। তারা আরও ৩০ হাজার টাকা এনে মিল করে এক লাখ টাকা দিতে বলে। তাহলে মামলা হালকা করে চালান দিবে-না হলে এমন মামলা দিবে যাতে ১ বছরেও জামিন না হয়। পরদিন অর্থাৎ ১১ মার্চ সকালে তার মেয়ে আরও ৩০ হাজার টাকা এনে ডিবি পুলিশকে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, তারপরও ডিবি পুলিশের এসআই এসএম কাওছার সুলতান তার স্বামীকে ১০ গ্রাম ও তাকে ৫ গ্রাম হেরোইন ডিবি অফিসের ড্রয়ার থেকে বের করে দিয়ে তাদেরকে কোর্টে চালান করে দেয় এবং তাদেরকে মসিন্দা পাকা রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বলে মামলায় লিখে। পুলিশ প্রশাসনের লোক যে এমন ডাহা মিথ্যা কথা লিখতে পারে এটা তার ধারণা ছিলনা বলে জানান। প্রায় ১ মাস হাজতবাসের পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তিনি ও তার স্বামী জামিনে মুক্ত হন। লিখিত বক্তব্যে তিনি প্রশ্ন করেন-আজকাল কি ডিবি পুলিশ মাদকের কেনাবেচা করে? তাদের অফিস থেকে হেরোইন দিয়ে তাকে কেন ফাঁসানো হল? এতে তার এলাকায় তার সম্পর্কে কি মেসেজ গেল? তার দুটি মেয়ে রয়েছে-তাদের মনে এবং সমাজে তাদের মা-বাবা সম্পর্কে যে বিরূপ ধারণা হল-এর জবাব কে দিবে?

পুলিশ সুপারের কাছে সোমবার (৩ জুন) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ডিবি পুলিশের এসআই এসএম কাওছার সুলতানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ সময় কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লিজা আক্তার বর্ষা ও ছোট মেয়ে সূচি তার সঙ্গে ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলে কর্মরত বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights