নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে মগড়া ইউনিয়নে নির্মাণ কাজের ৪টি প্রকল্পের কাজ না করে টাকা উত্তোলন করেছে প্রকল্প প্রধান জনপ্রতিনিধিরা। এনিয়ে এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্দ হয়ে পড়েছে।জানাগেছে, মগড়া ইউনিয়নের বাহির শিমুল গ্রামের ঈদগা মাঠ থেকে আইয়ুবের বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ কাজের জন্য ২ লাখ ৭২ হাজার টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের প্রধার ছিলেন ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মো. লুৎফর রহমান। বাদের গাগরজান ইউসুফের বাড়ি হইতে জাবেদের বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ কাজের জন্য ২লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের প্রধান করা হয় ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) পারুল আক্তারকে। রাঘব কররা সাকিলের বাড়ি হইতে ছানোয়ারের বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ কাজের জন্য ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের প্রধান করা হয় ইউপি সদস্য(সংরক্ষিত) সাজেদা আক্তারকে। এছাড়াও বড় বাসালিয়া মিজানের বাড়ি হইতে জলিলের বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের প্রধান করা হয় ইউপি সদস্য মো.শাজাহান মিয়াকে।সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে, দেখা মিলে ওই সব গায়েবী প্রকল্পের। স্থানীয়রা জানায় নির্মাণ তো দুরের কথা এসব প্রকল্পে এক টুকরি মাটিও ফেলেননি প্রতিনিধিরা। মাটি না ফেলার কারণে তাদের চলাফেরাসহ মসজিদে নামাজ আদায় করতে নানা অসুবিসায় পড়তে হচ্ছে। তারা বলেন, রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর। বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের এই রাস্তা দিয়ে পানি উঠে। সরকার তাদের রাস্তা নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ দিলেও জনপ্রতিনিধিরা কাজ না করে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করবে বলেও জানিয়েছে।কথা হয় অভিযুক্ত প্রকল্প প্রধান জনপ্রতিনিধিদের সাথে, সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য পারুল আক্তার বলেন, প্রকল্পের টাকা তিনি উত্তোলন করেছে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে কাজ করে দিবেন। বাকিসব জনপ্রতিনিধিরা ফোন বন্ধ করে রাখেন।মগড়া ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা জানায়,মগড়া ইউনিয়নে এধরনে ২২টি প্রকল্প এসেছে। কোন প্রকার কাজ না করেই চেয়ারম্যান তার পছন্দের ইউপি সদস্যদের নিয়ে ভাগাভাগি করে খায়।মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ওমর ফারুকের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের টাকা সবাই উত্তোলন করেছেন। সরিজমিনে গিয়ে প্রকল্পের টাকা পাশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদিও সরেজমিনে গিয়ে প্রকল্পের টাকা পাশ করার নিয়ম। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দেওয়ায় তিনি সরেজমিনে না গিয়ে প্রকল্পের টাকা পাশ করে দিয়েছেন।মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোতালিব হোসেনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি দেখতেছি বলে ফোন কেটে দেন।এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) হাসান-বিন-মুহাম্মদ আলী মুঠোফোনে জানান, প্রকল্পগুলোর খোঁজ নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।