নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অবস্থান করেছিলেন শান্তা আক্তার (২৩)। কিন্তু মন গলেনি প্রেমিক সোহাগের। তাই কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যা করলেন শান্তা। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার খালুয়াবাড়ী এলাকায় প্রেমিক সোহাগের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
এদিকে সোহাগ পলাতক থাকলেও তার মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শান্তার বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোখলেছুর রহমান। শান্তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, এক বছর আগে মোবাইলে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয় শান্তার। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত কথা বলতেন তারা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা।
এ সময় বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন দুজন। এর মধ্যে বিয়ের জন্য সোহাগকে চাপ দেন দিলে নানা টালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয় মাতবর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি শান্তা। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। পরে বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে সোহাগের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি।
কিন্তু সোহাগ বিয়ে না করে উল্টো পালিয়ে যায়। এতে কোনো উপায় না পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রেমিক সোহাগের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।