মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

টাংগাইলের চার উপজেলার ১৫ গ্রামে নদী ভাঙন

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে টাঙ্গাইলের নদ-নদীর পানি বাড়ায় ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে জেলার কালিহাতী, ভূঞাপুর, সদর এবং নাগরপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ। এরই মধ্যে সদর, কালিহাতী ও ভূঞাপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে রাক্ষসী যমুনার ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা।

যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুল ইউনিয়নের চরপৌলি গ্রামের অরক্ষিত এক হাজার ৬২৫ মিটার এলাকা এবং ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এদিকে জেলার কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ী, ভৈরববাড়ী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, কয়েক দিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। বর্তমানে কিছু এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। মুহূর্তেই বাড়িঘর-গাছপালা, কাঁচা-পাকা স্থাপনা—সবই গ্রাস করে ফেলছে।

সদর উপজেলার চরপৌলি গ্রামের সবুজ, জাহিদসহ কয়েকজন জানান, যমুনার ভাঙনে এরই মধ্যে গ্রামের অরক্ষিত অর্থাৎ দুই পাশে বাঁধের মাঝখানে খোলা এক হাজার ৬২৫ মিটার এলাকার ৩৫টি পরিবারের বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ৩৫টি পরিবার। তাদের কেউ খোলা আকাশের নিচে, কেউ অন্যের জমি ও বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনার বাঁ তীরে কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ী পাথরঘাট থেকে আলীপুর পর্যন্ত বেরিবাঁধ নির্মাণ ও নিউ ধলেশ্বরী নদীর অফটেক (মুখ) বাঁধাই করা হয়েছে।

অন্যদিকে নাগরপুর উপজেলা থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলির দক্ষিণ পর্যন্ত জিও ব্যাগ ও বল্ক ফেলে স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়েছে। মাঝখানে চরপৌলি গ্রামের এক হাজার ৬২৫ মিটার অংশ অরক্ষিত রয়েছে। বাঁধ না থাকায় ওই অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কিছুদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন দপ্তরে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের জন্য একটি প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় ইকোনমিক জোনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়ে যাবে। আগামী শুকনা মৌসুমে বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।’ বর্তমানে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights