মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :

ধনবাড়ীতে বিএম শাখার আট শিক্ষার্থী দিতে পারলো না পরীক্ষা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ধনবাড়ীতে বিএম শাখার আট শিক্ষার্থী দিতে পারলো না পরীক্ষা। কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, জাল জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে টাকা পয়সা পরিশোধ ও কলেজ পরীক্ষায় অংশ নিয়েও চলতি এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম ফাইনাল দিতে পারলো না বিএম শাখার ৮ শিক্ষার্থী। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজের বিএম শাখার শিক্ষার্থী তারা। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষার্থী মানতে রাজি নয়। এ দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রশাসন, কলেজ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অভিযোগ করে কোন সহযোগিতার আশ্বাস না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তারা। কান্না জড়িত কন্ঠে তারা জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত কলেজ সংশ্লিষ্টদের শাস্তি ও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নাঈম,স্বাধীন, রনি, হামিদ, মুকুলরা জানায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে তারা গত বছর কলেজের বিএম শাখায় ভর্তি হয়। প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা কলেজ করণিক ছানোয়ারের কাছে জমা দেয়। পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করে কলেজে প্রবেশপত্র সংগ্রহে এসে জানতে পারে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি। শনিবার পরীক্ষার আগের দিন আসবে ছানোয়ারের এমন প্রতিশ্রুতিতে তারা সারাদিন অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র হাতে না পাওয়ায় পরীক্ষায়ও বসতে পারছে না, শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তারা। সহপাঠীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও প্রবেশপত্র না থাকায় রবিবার পরীক্ষা দিতে সর্বশেষ কলেজে গিয়েও পরীক্ষায় বসতে না পেরে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বলে- টাকা দেয়ার পরেও কেন আমাদের ফরম পূরণ হলো না। কেন আমাদের সাথে এমন প্রতারণা করা হলো। ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তিসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। এদিকে করণিক ছানোয়ারের মোবাইলে বার বার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। হেড ক্লার্ক আব্দুস সালাম জানান, কাল এবং আজ (রোববার) ছানোয়ার কলেজে আসেননি। তিনি জানান, ধোপাখালী টেকনিক্যাল কলেজ কেন্দ্রে তাদের ১০৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। যারা কলেজে পরীক্ষার বিষয়ে এসেছিল তারা ছাত্র না। আবু সাঈদ নামের ওই কলেজের এক শিক্ষক জানান, প্রশাসন থেকে ছানোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাকে সাসপেন্ড করতে মিটিং করে কলেজ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নিবে শিগগির। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগকারীরা কলেজের ছাত্র না বলে শুনেছি। তবুও কলেজ অধ্যক্ষকে ওই অভিযুক্ত করণিক সহ উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম জানান, অভিযোগকারীরা কলেজের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত বৈধ শিক্ষার্থী না হওয়ায় তাদের প্রবেশপত্র পাওয়া বা পরীক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights