নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমি থেকে নৌকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারছে বালু উত্তোলন করছে টাইগার বাহিনী। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জমির মালিকসহ এলাকাবাসী। একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে জোর পুর্বক অন্যের ফসলি জমিতে জোড়পূর্বক ড্রেজিং করে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় ও সহকারী কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার শাহজানী প্রকাশ আটাপাড়া গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে আবু ছালেম (৩৫) সহ তার চাচাতো ভাইদের আটাপাড়া মৌজায় ২৬ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। শুকনো মৌসুমে ওই ফসলি জমিতে চাষাবাদ করা হয়। নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে নদী ও ফসলি জমির সীমানা নির্ধারণ করা যায় না। এ সুযোগে টাইগার বাহিনী নৌকায় বাংলা ড্রেজার বসিয়ে আবু ছালেম ও তার চাচাতো ভাইদের জমি থেকে বালুমাটি উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করছে ওই টাইগার। হালিম টাইগার ওই গ্রামের মৃত মতি মন্ডলের ছেলে। টাইগার এসব অবৈধ ব্যবসা করে নিজস্ব বাহিনী তৈরি করায় তার বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ২৬ জুন সকাল ৭ টার দিকে নৌকায় বাংলা ড্রেজার বসিয়ে আবু ছালেম এর জমি হতে বালুমাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। খবর পেয়ে আবু ছালেম ও তার ভাইয়েরা পরদিন ২৭ জুন সকাল ৯ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে টাইগার বাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বে তাদের জমি থেকে বালুমাটি বিক্রি করা হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করে। ড্রেজার মেশিন বন্ধ করতে বলায় টাইগার বাহিনীর সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয় টাইগার বাহিনী। বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরদের জানালে তারা কোন সুরাহা করতে পারেনা।ফলে উপায়ন্ত না পেয়ে পেয়ে নাগরপুর থানায় আবু ছালেম বাদি হয়ে আব্দুল হালিম ওরফে টাইগারসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) দীপ ভৌমিক জানায়, খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।