নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা। দেখা দিচ্ছে সুপেয় পানির অভাব।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা। দেখা দিচ্ছে সুপেয় পানির অভাব।
এদিকে ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি গ্রামে প্রবেশ করায় একটি পাকা সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া ঘোষপাড়া, খানুরবাড়ী, ভালকুটিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যমুনা নদীর পানি পাড় উপচিয়ে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। গত দুইদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় গোবিন্দাসী-কষ্টাপাড়া-ভালকুটিয়া রাস্তাটি ভেঙে গেছে।
এদিকে শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর ভূঞাপুর অংশে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। আর বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনা নদীতে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিপদসীমারা ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার, ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রিজ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, এবং মধুপুর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, গোপাপলপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গনও অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, যমুনার পানি লোকালয়ে আসায় কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, খানুরবাড়ি, চিতুলিয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভালকুটিয়ার রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় আরো বেশি দুর্ভোগে পড়েছে তারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙন এলাকা ও বন্যা কবলিতদের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।