নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে যমুনাসহ সবক’টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সড়ক ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানির তীব্র স্রোতে ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া এলাকায় সড়ক ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি উঠায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে আউশ ধান, পাট, তিল ও সবজি। পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, টাঙ্গাইলে সবক’টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আগামী ৯ই জুলাই পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এরপর থেকে পানি কমা শুরু হবে। আর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।