নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম টিক্কা (৫০) ও তার সহযোগী মো. খোকনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা টিক্কা স্বীকার করেছেন বলে জানান ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া। শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাইচাইল গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। আরেক সহযোগী মো. মনির (২৩) পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ঘাটাইলের বাইচাইল গ্রামের আতাব আলী খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম টিক্কা ও তার দুই সহযোগী পৌরসভার খরাবর গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে মো. খোকন (৪০) ও বাইচাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মো. মনির (২৩) ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ কান্নাকাটি শুরু করলে টিক্কা তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন তারা। কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তারা।
শনিবার রাতেই তার স্বামী ঘাটাইল থানায় গিয়ে শহিদুল ইসলাম টিক্কাসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
এ দিকে মামলা হওয়ার পরপরই ঘাটাইল থানা পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। প্রযুক্তির সহযোগীতায় দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে মামলার প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা ও তার সহযোগী খোকনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরেক সহযোগী মনির পলাতাক আছেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম টিক্কা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত টিক্কা ও তার সহযোগী খোকনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।