নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের বাজিতপুর-কদমতলী সড়কের বাজিতপুর পাগলাবাড়ী মোড় থেকে বাজিতপুর দক্ষিণ পাড়া প্রয়াত আব্দুর রহিম মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত পাঁচ মিনিটের রাস্তা হাজারো মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে হাঁটু কাদা হয়। তখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হাঁটাও মুশকিল হয়ে পড়ে। এ রাস্তা চলাচলে বানিয়াজান, কদমতলি, চরপাড়া, বাজিতপুর, পলিশারপাড়সহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী যাতায়াতেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। মালামাল ও যাত্রী, ভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা, সিএনজি, পিকআপ, মাইক্রো ও মিনি ট্রাকও যেতে পারে না। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার মাঝে ও পাশ দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বাজিতপুর গ্রামের বীরকদমতলি ডাকঘরের ইডিডিএ কর্মচারী হাবিবুর রহমান, মাহেদুল হাসান, নূরুল ইসলাম, অটো চালক নজরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামসহ অনেকে জানান, আমাদের বাজিতপুর-কদমতলি রাস্তাটি অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রাস্তাটি কাঁচা থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের জনসাধারণের। বাজিতপুর থেকে কদমতলির পাকা সড়ক পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তার বেহালদশা থাকায় এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে স্থানীয় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির কাছে বারবার বলা হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেননি। তবে মাঝে মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহিলাদের দিয়ে ভাঙা জায়গায় হালকা করে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। আমরা এলাকাবাসী দ্রুত এই রাস্তাটি পাকার দাবি জানাচ্ছি।
বীরতারা ইউপি চেয়ারম্যান আহমাদ আল ফরিদ জানান, রাস্তাটিতে মাঝে মধ্যেই মাটি কেটে দেয়া হয়। পাকাকরণে উপজেলা থেকে পরিমাপ করে নিয়ে গেছে। সাবেক কৃষিমন্ত্রী বর্তমান এমপিকে বারবার নজরে দেয়া আছে, আশা করছি পাকা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।