নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বদলির আদেশ পাত্তা দিচ্ছেন না এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম খান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে তাকে বদলি করা হলেও আদেশ অমান্য করে আইনবহির্ভূতভাবে আগের কর্মস্থলেই রয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলার এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম খান কে নাগরপুর উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জ সদরে বদলি করা হয়। এ মর্মে গত ২২ আগস্ট ২৪ ইং তারিখে (স্মারক নং-৪৬.০২.০০০০.৩০০.১৯.০০১.২৩-৪৪০) স্থানীয় সরকার প্রকোশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে বদলি জনিত অফিস আদেশ প্রেরণ করা হয়। আদেশের ১০ দিন অতিবাহীত হলেও দপ্তরের আদেশ কে বৃদ্ধা আঙুলি দেখিয়ে আগের কর্মস্থলেই রয়েছেন তিনি। অথচ সার্ভিস রুলের ৮১ ধারা অনুযায়ী, বদলি আদেশের পর নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রস্তুতির জন্য একজন কর্মকর্তা/কর্মচারি সর্বোচ্চ ছয় দিন সময় পান। একই শহরে বদলি হলে প্রস্তুুতির সময় পান না তারা।
এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম খানের কাছে বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাকে যেতে দিচ্ছেন না। এমনটা বলেই বলে দ্রুত তার অফিস রুম থেকে বের হয়ে যায়।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, বদলি করা কর্মস্থলে যোগ না দিলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য হয়। পুরোনো কর্মস্থলে কাজ করা আইনবহির্ভূত। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তার বদলি হয়েছে তাই যত দ্রুত চলে যায় ততই মঙ্গল। না হলে জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে।