নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার বুঝে পেতে প্রায় ১৫ বছর ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত এক অসহায় নারী। টাকার অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। ওই নারীর নাম শামছুন নাহার (৪৫)।
বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের নামদারপুর গ্রামে। ওই নারীর দাবি তার বাবা রুস্তম আলী দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে ১৭ বছর আগে মারা যান। তিনি বড়চওনা মৌজায় নয়টি এবং কুতুবপুর মৌজায় ১৬টি খতিয়ানে ১৭ একর জমি রেখে যান।
শামছুন নাহার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। স্বামীও গরিব ও বেকার। তাই টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না শামসুন নাহার। বাবার সম্পত্তি বড় ভাই আমির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ ভোগদখল করে আসছেন। ওই সম্পত্তি তারা বন্ধকী (লিজ) দিয়ে প্রতি বছরই মোটা অঙ্কের টাকা পাচ্ছেন। যা থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাবার সন্তান হয়ে যদি তারা জমিগুলো দখলভোগ করতে পারেন আমি কেনো পারব না। আমি বাবার সম্পত্তি থেকে ভাইদের কারণে বঞ্চিত হচ্ছি। বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাদের কাছে এসব দাবি নিয়ে গেলে নানা তালবাহানা করেন তারা। আমার প্রাপ্য আমাকে বুঝিয়ে দেন না।
পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার বুঝে পেতে শামছুন নাহার সম্প্রতি সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী আবেদনের বিষয়ে বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে পরিষদের সভা কক্ষে দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বসা হয়েছিল। মীমাংসার লক্ষ্যে জমির চূড়ান্ত পরিমাণ পরিমাপে একটি জুরিবোড গঠন করা হয়েছে। ওই জুরিবোড এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিবে। এরপর সমঝোতার লক্ষ্যে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আমির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, শামছুন নাহারের পাওনার চেয়ে দাবি অনেক বেশি। যেহেতু সে বিচার প্রত্যাশী হয়ে অভিযোগ দিয়েছে, সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে আমরা সেটাই মানব।