মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

স্থায়ী জামিন পেলেন মুক্তি

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি রোববার স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। এর আগে গত ২৮ আগস্ট তিনি অস্থায়ী জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অস্থায়ী জামিন পাওয়া সহিদুর রহমান ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি রোববার আ্যম্বুলেন্সযোগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসেন। সহিদুরের স্থায়ী জামিন চান আইনজীবীরা। পরে ওই আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে সহিদুরের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান। সহিদুর রহমানের বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুরের অপর তিন ভাইও আসামি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর সহিদুর আত্মগোপন করেন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। পরে ২০২২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়েছিলেন। পরে আদালত জামিন বাতিল করার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কারাগারে যান। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হন। পরে আদালত তাঁর জামিন বাতিল করলে পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যান। গত ২৮ আগস্ট অস্থায়ী জামিন পান সহিদুর।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পঁর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তাঁর তিন ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সহিদুররা চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, মামলাটির শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights