মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

বাসাইলের বিলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে লাল শাপলা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাদ্র-আশ্বিনের এই সময়ে বিলে শতশত একর জমিতে ফুটে থাকা লাল শাপলা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রকৃতি প্রেমীদের। টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার এই বিল তাই খ্যাতি পাচ্ছে লাল শাপলার বিল নামে। রোদের তাপে নুইয়ে পড়ে বলে ভোরের সূর্য উঠার আগেই লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন নানা প্রান্তের বিভিন্ন বয়সি প্রকৃতি প্রেমীরা। সাথে বাড়তি আকর্ষণ বিলের পাড়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে ডানা মেলা কাঁশফুল। ফুটে থাকা কাঁশফুল জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষা শেষে শরৎ এর আগমণ। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বর্ষার স্নিগ্ধতার রেশ এখনও রয়েছে প্রকৃতিতে।

খাল-বিলের থৈ থৈ পানিতে ফুটে থাকা লাল শাপলা ফুল সবার নজর কেড়েছে। তেমনই এক শরতের সকালে শুভ্র নীল আকাশ আর জমিনের হালকা কুয়াশার চাদরে মোড়া ধরণীতে সবেমাত্র উকি দিচ্ছে কুসুম সূর্য। সেই সূর্য শাপলার সবুজ পাতা আর লাল পাপড়িতে জমে থাকা শিশিরে ধরা দিয়েছে চিকিমিকি মুক্তা হয়ে। কাকডাকা ভোরে সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে বিলের ধারে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোরে দূরদূরান্ত থেকে শত শত প্রকৃতি প্রেমীরা ফুটে থাকা লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন বাসাইল পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার এই বিলে। রোদের তাপে নুইয়ে পড়ে বলে ভোরের আলো ফুটতেই লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরা। কেউ কেউ কাঁদা মারিয়ে শাপলা তুলে খোপায় গুঁজছেন, আবার কেউ শাপলা তুলে ছবি তুলছেন। এ যেন লাল শাপলা ফুলের মেলা। কেবল সৌন্দর্য উপভোগই নয় এই লাল শাপলা হয়ে উঠেছে প্রান্তিক মানুষের জীবিকার উৎসও। এখান থেকে প্রতিদিন আহরোণ করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার শালুক। তবে বিলে নৌকা না থাকায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় দর্শনার্থীদের।

দর্শনার্থী তানিয়া আক্তার বলেন, আমি সখীপুর থেকে এখানে লাল শাপলা দেখতে এসেছি দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে বিলে নৌকা না থাকায় আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কাঁদা মাটি পাড়িয়ে বিলে যেতে হয়।

শিক্ষার্থী অনামিকা সাহা বলেন, আমি এখানে প্রথম এসেছি। বিলের শাপলা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। বিলের মাঝখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো হলে আরও দর্শনার্থীরা আসতে পারতো। ঘুরতে আসা শিমু আক্তার বলেন, আগে এখানে মানুষ আসতো না। এখন লাল শাপলার খবর পেয়ে ও দেখে এখন অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন। বিনোদনের একটা জায়গা হয়েছে। সবাই তাদের ইচ্ছা মতো ছবি তুলছে। তিনি আরও বলেন, আগামী মৌসুমে নৌকাসহ পর্যটন উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা গেলে এই শাপলা বিলকে কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ।

কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাহিমা খাতুন বলেন, এতো লাল শাপলা আমি কখনো দেখি নাই। আমি বান্ধবীদের সাথে এসেছি। হাজার হাজার লাল শাপলা ফুল ফুটেছে। প্রকৃতি যেন অন্যরকম সাজে সেজেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কাঁদা পাড়িয়ে ছবি তুলতে যেতে হয়। এখানে যদি নৌকার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আরও দর্শনার্থীদের ভিড় হবে। ঘুরতে আসা সাব্বির হোসেন বলেন, বউকে সাথে নিয়ে লাল শাপলা দেখতে এসেছি। অনেক দিন ধরে ইচ্ছে ছিল লাল শাপলার সাথে ছবি তুলবো আজ ইচ্ছেটাকে পূর্ণতা দিলাম। ভোর বেলায় লাল শাপলাগুলো মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। লাল শাপলার রাজত্ব মনকে প্রফুল্ল করে তুলেছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights