নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উত্তরের নেমে আসা ঢলে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি দিন দিন বাড়লেও এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লেও জেলায় বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
জানা গেছে, ভৌগলিক দিক থেকে ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা-খরা, শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেকটা সেফ জোন হিসেবে পরিচিত জেলা টাঙ্গাইল। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত জেলার নদীগুলোর পানি প্রতিদিন বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে কোন কোন নদীতীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে, জেলার যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৯ দশমিক শূণ্য ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বংশাই নদীর পানি মির্জাপুরের বংশাইঘাট পয়েন্টে ৫ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বাসাইলের কাউলজানী পয়েন্টে ৭ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, মধুপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুল পয়েন্টে ৯ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধলেশ্বরী নদীর পানি দেলদুয়ারের এলাসিন ব্রিজ পয়েন্টে ৬ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ঝিনাই (নিউ ধলেশ্বরী) নদীর পানি জোকারচরের টিকুরিয়া প্রাইমারি স্কুল পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক শূণ্য ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ফটিকজানী নদীর পানি নলছোপা পয়েন্টে ৮ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক শূণ্য ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, জেলার লৌহজং নদীর যুগনী পয়েন্টের পরিমাপ মিটার এবং ফটিকজানী নদীর ভূঞাপুর রেগুলেটর পয়েন্টের পরিমাপ মিটার পাউবো সাময়িকভাবে বন্ধ করে রেখেছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন জানান, জেলার সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের ঢল সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে, তাই পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যার আশঙ্কা নেই। নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিমুর্হুত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জেলার কোন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিলে তারা জরুরি সেবা হিসেবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।