মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

গোপালপুরে সেনা সদস্যর বাড়িতে হামলা ও চাঁদা দাবি

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে গোপালপুরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সেনা সদস্যের বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেনা সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন এবং চাঁদা দাবি করে। শুক্রবার (৪ অক্টোরব) গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াল ইউনিয়নের রাজ গোলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছে জানান ভুক্তভোগীরা। আহত ব্যক্তিরা হলেন সুমি খাতুন, নাজিম উদ্দিন, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আতিকুর রহমান আতিক।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত শুকুর মাহমুদের দুই ছেলে সরকারিভাবে বন্দবস্ত জমি নেন। ১৯৭৫-৭৬ সালে ৪৩ শতাংশ জমি নেন মৃত মজিবর রহমান তালুুকদার ও ১৯৭৭-৭৮ সালে ৪১ শতাংশ জমি সরকারিভাবে বন্ধবস্ত নেয় আবুল হোসেন তালুকদার। ২০০৭ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ খারিজ আছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য সরকারিভাবে কোন লীজ যাতে না দিতে পারে এরকম একটি রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে ওই পুকুর দখল করার চেষ্টা করে আপন ও এরশাদরা।

গত শুক্রবার সকালে আবুল হোসেন তালুকদার ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তাকে বাঁধা প্রদান করে ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আপন ও এরশাদরা শুক্রবার সকালে জোরপূর্বক ভাবে মাছ ধরে হেমনগর আড়তে নিয়ে যায় বিক্রি করার জন্য। পরে পুলিশের খবর দিলে তারা উদ্ধার করে আবুল হোসেন তালুকদারদের কাছে ফেরত দেয়।

আহত সুমি খাতুন বলেন, আমার পেঁপে গাছ থেকে পেঁপে পেরে নিয়ে যাচ্ছি তখন আপন আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। পরে এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে পেঁপে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়। পরে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আপন ও এরশাদরা মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। তারা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা মাছ ধরতে দিবে না। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। আপন ও এরশাদরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে ও আমাদের লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এসময় আমিসহ তিনজন আহত হয়।

সাবেক সেনাকর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম বলেন , আমার চাচা আবুল হোসেন পুকুরে মাছ ধরতে গেলে দৃষ্কৃতকরীরা বাধা প্রদান করেন এবং চাদাঁ দাবি করেন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিপন, সজীব, সবুজ, শিল্পী, বেলাল, আপন, সুরুজ, রহিম বাদশাহ ও জীবন বাড়ীতে ভাংচুর করে । আমার ছোট ভাই আতিকুর রহমান সেনাবাহিনীর চাকুরি থেকে ছুটিতে আসে বাধা দিতে গেলে বাশঁদিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে তাকেও মারধর করে।

মো.এরশাদ মিয়া বলেন , আমি বাড়ীতে ছিলাম না তাদের বাড়ীতে হামলা হয়েছে আমি শুনেছি। আমি তখন ঐখানে ছিলাম না।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাপ মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, হেমনগর ফাঁড়ি এসআই লুৎফরকে তদন্তকারী দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights