নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে কালিয়াপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় দুই বছর ধরে স্থানীয় একটি সড়ক মেরামতের ইটের খোয়া ও বালু ফেলে স্তূপ বানিয়ে রেখেছে সড়কটির ঠিকাদার। স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ১২ দিনের কথা বলে স্কুলমাঠে ইটের খোয়া রাখলেও পরে তাদেরকে বারবার তাগিদ দিয়েও এগুলো সরানো যায়নি। এভাবে দেড়-দুই বছর হয়ে গেছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবুও কেন মাঠটি খালি করা হচ্ছে না জানা নেই শিক্ষকদের। তারা ধারণা করছেন-আওয়ামী সরকার পতনের পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সবাই পলাতক আছে।
গত রোববার সরেজমিন দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যালয়ের মাঠে ইটের খোয়ার স্তূপ করেই থামেনি, স্তূপ থেকে খোয়া আনা-নেয়ার জন্য বড় ও ভারী যানবাহন ওই মাঠ দিয়ে চলাচলের ফলে মাঠ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ওই বিদ্যালয় এবং আশপাশের আরো তিনটি বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করতেও সমস্যা হচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে পাশে থাকা আড়াইপাড়া বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদে মুসল্লিদের যাতায়াতেও।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলমাঠে ইটের খোয়া ফেলে রাখায় মাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। অনেক শিক্ষার্থী ইটের খোয়ায় হোঁচট খেয়ে ব্যথাও পেয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমরা বাচ্চাদেরকে নিয়ে আতঙ্কে থাকি। বাচ্চারা খেলাধুলা করতে গিয়ে মারাত্মক আহত হতে পারে। এসব ইটের খোয়া দ্রুত সরিয়ে মাঠটি সংস্কার করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক ইয়াছিন আলী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অল্প কয়েক দিনের কথা বলে স্কুলের মাঠে ইটের খোয়া রাখে। বারবার সরাতে বললেও তারা মাঠ খালি করছে না। আরেক সিনিয়র শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এগুলো সরাচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দাস ট্রেডার্সের কাছ থেকে সড়কটির কাজ কিনে নেয় শিকদার ট্রেডার্স।
এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠনের মালিক জাহাঙ্গীর তারেক বলেন, কাজটি এখন আমাদের হাতে নেই। আর আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানেও নেই। তাই স্কুলমাঠে ইটের খোয়া রাখার বিষয়ে আমার জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এলজিইডির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি সখীপুরে নতুন হওয়ায় এ বিষয়ে তার জানা নেই। তিনি খুব দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।