নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন হিমেল আহমেদ। কয়েক বছর চাকরির পেছনে। ঘুরে ব্যর্থ হয়ে একসময় সিদ্ধান্ত নেন গ্রামে ফিরে কৃষি উদ্যোক্তা হবার। আর সেই সিদ্ধান্তই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে হিমেলের। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বেইলা গ্রামের মো: জোয়াহের আলীর ছেলে হিমেল। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন ফলজ গাছ কিনে প্রিয় মানুষদের উপহার দিতেন তিনি। নিজেও সংগ্রহ করতেন এসব গাছের চারা।
হিমেলের ফল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বেইলা গ্রামে ২৮ বিঘা জমিতে গড়া কৃষি প্রজেক্টে রয়েছে ড্রাগন, কলা, লেবু ও টপ লেডি জাতের পেঁপে। বাগানের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা এবং বাড়ির ছাদে রয়েছে নানা ধরণের ফলজ বৃক্ষ।
হিমেল জানান, আমি মাস্টার্স শেষ করার পর বিভিন্ন জায়গায় চাকরি খুঁজে না পেয়ে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় বাড়িতে চলে আসি। প্রথমে শখ করে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে ৮০০ ড্রাগন গাছ লাগাই। বর্তমানে ৯ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগনসহ অন্যান্য ফলের বাগান করেছি। ‘হিমেল এগ্রো ফার্ম’ নামের এই বাগানে ড্রাগনের পাশাপাশি কলা, পেঁপে ও লেবু বাগানও রয়েছে। ড্রাগন ফলে ভালো লাভ হওয়ায় পরবর্তীতে ১৫০০ ড্রাগনের খুঁটি লাগাই। বাগানে এ বছরই প্রথম ড্রাগন ফল ধরেছে। ১৫০০ ড্রাগন গাছে আমার মোট খরচ হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই ড্রাগন ফল বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে গেছে। বাগানে আরো ৫-৬ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করতে পারবো। এই ফল বিক্রিতেও কোনো ভোগান্তি নেই। বাগান থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়।
হিমেলের বাগান দেখতে আসা ফরিদ বলেন, হিমেল ভাইয়ের এই বিশাল বাগান দেখতে প্রতিদিন অনেক লোক আসে। হিমেল ভাই পাহাড়ি এলাকার সুপরিচিত একজন কৃষি উদ্যোক্তা।
ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, হিমেল একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছে। যদি কেউ এমন বাগান করতে চায় তবে কৃষি বিভাগ থেকে আমরা শতভাগ পরামর্শ ও সহায়তা করব।