মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :

ভূঞাপুরে ১০০ কোটি টাকার মালিক ডিস লাইনের কর্মচারী ফজলু

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফজলু মল্লিকের বিরুদ্ধে ১০০শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদন করা হয়েছে। দূর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন করা হয়। ফজলু মল্লিক টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামের ফয়েজ ওরফে ফায়েজ মল্লিকের ছেলে।

অভিযোগে জানা যায়, ফজলু মল্লিক কর্মজীবন শুরু করেন ক্যাবল টিভি অথ্যাৎ ডিস লাইনের বিল তোলার কর্মচারী হিসেবে। তার মামাতো ভাই-মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় ও সাবেক সংসদ সদস্য টাঙ্গাইল-২ আসনের মো. তানভীর হাসন ছোট মনিরের সাথে গভীর ঘনিষ্টতা থাকার কারণে ঠিকাদারী ব্যবসার নামে বিভিন্ন জনের লাইন্সেস ব্যবহার করে স্বৈরশাসক সরকার আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ১৭ বছরে শুধু নামে মাত্র কাজ করে।

কোনটা কাজ না করেই ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ ভাবে দূনীতি করে প্রায় ১০০শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ফজলু মল্লিক অন্য ঠিকাদারের নামে মাত্র টাকা দিয়ে জোর করে ছাত্রলীগ উপজেলা সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রফিক চেয়ারম্যান অলোয়া ইউনিয়ন যোগসাজসে ক্রয় করতেন। পরে সেগুলো নিয়মের বাহিরে কাজ করে সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ তানভীর হাসান ছোট মনিরের প্রভাবে বিল উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেয়।

ফজলু মল্লিক রাষ্ট্রের কাজ ফাঁকি দিয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে সেই অর্জিত টাকা দিয়ে ভেকু ক্রয় করেছেন ৮০ টা, যার মূল্য ২৫ কোটি টাকা মাত্র, ভূঞাপুরে ৯ টি জমির প্লট, টাঙ্গাইলে ৪টি, ঢাকায় ২টি। যার মূল্য ২৭ কোটি টাকা মাত্র। ফ্ল্যাট টাঙ্গাইল আদালত পাড়ায় ১টি যার মূল্য ৬০ লাখ টাকা মাত্র। ঢাকা বনানীতে ২২ স্কয়ার ফিটের ১টি যার মূল্য ১ কোটি ২৫লাখ টাকা মাত্র। ইটের ভাটা ১টি, যার মুল্য ৮ কোটি টাকা মাত্র। এই ইটের ভাটাটি ঘাটাইল উপজেলার-লোকেরপাড়া ইউনিয়নের ঝোলাবাড়ি খালের কাছে অবস্থিত। ভূঞাপুরের ৬ তলা বিল্ডিং ১টি, যা ইবরাহীম খাঁ সরকারী- বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পশ্চিম সংলগ্ন। যার মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা মাত্র। ভূঞাপুর উপজেলার কাগমারী -শিয়ালকোল মৌজার শিয়ালকোল বট তলার দক্ষিন পূর্বে পাকা রাস্তার সাথে ১৪ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন ফজলু মল্লিক ও আফরোজা মল্লিক। এখানে তার নিজস্ব ভেকুর গেঁরেজ করেছেন। আরো ১টি গেরেজ চট্টগ্রামে রয়েছে। যার মূল্য ৬ কোটি টাকা মাত্র। ভূঞাপুর বাজারে রয়েছে ক্যাবল টিভি অথ্যাৎ ডিস লাইনের ব্যবসার অফিস। এই অফিসের দায়িত্বে তার ভাই কাইয়ুম মল্লিক রয়েছেন। যার মূল্য ২ কোটি টাকা মাত্র । ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ক্যাবল টিভির মালিক হন তিনি। কৌশলগত কারণে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন তার ভাই ফরহাদ মল্লিককে। তিনি ভূঞাপুর বাজারে মুদির দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন।

প্রায় ২০ কোটি টাকা ফজলু মল্লিকের নিকট আত্মীয় স্বজনদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ডে রেখেছেন। এবং নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তাদের ব্যাংক একাউন্ডেও টাকা রয়েছে বলে দূর্নীতি দমন কমিশনের আবেদন থেকে জানা যায়। এছাড়াও ফজলু মল্লিকের নামে ঢাকায় বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফজলু মল্লিক জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার মামাতো ভাই। টাংগাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির এমপি ছিল সেই হিসেবে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে।

দুদকের এ অভিযোগ সম্পর্কে কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি নই। অভিযোগকারী সোনিয়া আক্তার জানান, দুদক সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে এটাই প্রত্যাশা করি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102