মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে সব ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতি র‌্যালি টাংগাইলে বাজার ব্যবস্থা তদারকি করছে পুলিশ প্রশাসন কালিহাতীতে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মজুদ করায় জরিমানা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হবে থাকবে– হযরত আলী মিঞা আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে টাংগাইলে মশাল মিছিল গোপালপুরে সার্ভেয়ারের উপর হামলা টাংগাইলে সরকারের খাদ্য কর্মসূচির চাল ‘কালোবাজারে বিক্রি’র অভিযোগ সখীপুরে বনের জমি দখলের অভিযোগে জামায়াত নেতা গ্রেফতার ভূঞাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধে অবরোধ তারেক রহমান ও সালাম পিন্টুসহ নেতৃবৃন্দ খালাস পাওয়ায় মির্জাপুরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

নাগরপুরের জহুরুল মিষ্টি পান চাষে সফল

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে পান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জহুরুল ইসলাম (৩৮)। দারিদ্র্যকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। জেলায় পান চাষির উদাহরণ এখন তিনি। জহুরুল নাগরপুর উপজেলার মামুদ নগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।

অন্যের টেইলারিং (দর্জি) দোকানে কাজ করে অভাব-অনটনের মাঝে সংসার চলে তার। রাজশাহীর এক বন্ধুর পরামর্শে সেখান থেকে প্রথম ৫ হাজার মিষ্টি জাতের পানের চারা এনে বাড়ির পাশে ২৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে পান রোপণ করেন। পান চাষ করে প্রথম বছরেই সে সুখের মুখ দেখেন।

এলাকাবাসী মো. হামিদ খান বলেন, ‘জহুরুল অনেক কষ্ট করে রাজশাহীর মিষ্টি পানের একটি বরজ তৈরি করেছে। আমরা তার এখান থেকে পান কিনে খাই। পানের স্বাদ রাজশাহীর পানের মতোই। এলাকায় যদি জহুরুলের মতো আরও উদ্যোক্তা তৈরি হয়, তাহলে জেলার পানের চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে।’

পান চাষি মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে আমি পান চাষ করছি। নাগরপুর উপজেলায় আমিই প্রথম রাজশাহীর মিষ্টি পানের চাষ শুরু করি। পানের বরজ তৈরি করতে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। কোনো সমস্যা হলে রাজশাহীর চাষিদের পরামর্শ নিই। পান চাষে এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভের পরিমাণ বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এই বাগানের পান স্থানীয় হাট-বাজারে পাইকারি বিক্রি করি। মাঝে মাঝে বিক্রির জন্য রাজশাহীতেও পাঠাই। এ বছর ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে বরজের প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু পান গাছ মারা গেছে। পোকার উপদ্রব ঠেকাতে ওষুধ ছিটানো ছাড়া অতিরিক্ত কোনো খরচ নেই বলে পান চাষ লাভজনক।’

জহুরুল আরও বলেন, ‘আমার পান চাষে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরিদর্শনের পাশাপাশি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। আমার কাছে কেউ যদি পান চাষের বিষয়ে সহযোগিতা চান, তাহলে সহযোগিতা করবো। সরকার যদি সহযোগিতা করে, তাহলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানো সম্ভব।’

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসাইন বলেন, ‘পান চাষের উপযোগী এলাকা নাগরপুর। যার দৃষ্টান্ত উপজেলার মামুদ নগরের জহুরুল ইসলাম। আমরা সার্বক্ষণিক পরিদর্শনের পাশাপাশি কারিগরি পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া উপজেলায় পান চাষের উদ্যোক্তা তৈরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights