নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এতদিন পর্যন্ত আদা চাষ সাধারণ জমিতে করা হলেও বর্তমানে কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন। কারণ এতে খরচ এবং জায়গা দু’টিই কম লাগে। আবার ফলনও হয় বেশি। তাছাড়া বাড়ির আঙিনা, বারান্দা, পতিত যেখানে অন্য কোনো ফসল হয় না সেখানে অনায়েসেই বস্তায় আদা চাষ করা যায়।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কলেজছাত্র আবির হাসান বাড়ির পাশেই অব্যবহৃত একটি আঙিনায় তিন শ’ বস্তায় আদা চাষ করে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন।
গত শুক্রবার সরেজমিনে আবিরের বাড়িতে দেখা গেছে, সারি সারি বস্তায় রোপন করা আদা গাছ চমৎকার সজীবতা ছড়াচ্ছে।
আবির জানান, ‘বস্তায় মাটি ঝুরঝুরে থাকে। এতে আদা বর্ধনে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। অথচ সাধারণ জমিতে আদা রোপনের কিছুদিন পরেই মাটি শক্ত হয়ে যায়। তখন আদার শারীরিক আকার বৃদ্ধিতে সমস্যা হয়। বস্তায় আদা চাষে পরিচর্যা করাও সহজ। প্রয়োজনে যেকোনো সময় স্থানান্তরও করা যায়।’
তিনি আরো জানান, ‘ইউটিউবে বস্তায় আদা চাষের ভিডিও দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেও পরীক্ষামূলক তিন শ’ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এতে তার সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে মাত্র নয় হাজার টাকা। এই সামান্য পুঁজি খাটিয়ে ফলন উঠিয়ে বিক্রি করতে পারবেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পড়াশোনার পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষে তিনি দারুণ আশাবাদী। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে নতুন এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে চান তিনি।’
সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ নয়া দিগন্তকে জানান, ‘সখীপুরে বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে কন্দ পচা রোগ হয় না। বাড়ির পরিত্যক্ত ও অনাবাদি জায়গায় অতি সহজেই এ পদ্ধতিতে কৃষকরা আদা চাষ করে লাভবান হতে পারেন। এক বস্তা থেকে প্রায় এক থেকে দুই কেজি আদা পাওয়া যায়। বস্তায় আদা চাষ নিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা উদ্বুদ্ধ করছি।’