নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে শহরে ঢুকলেই প্রথমেই দৃষ্টি পড়ে এ ময়লা-আবর্জনার ভাগারের দিকে। বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এ ভাগারের পশ্চিম পাশে বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ ও দোকানপাট। উত্তরপাশে টিএন্ডটি ও সেটেলমেন্ট অফিস, পশ্চিম পাশে ডাক-বাংলো, দক্ষিণ পাশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, ভিআইপি আবাসিক এলাকা। মাঝখানে ময়লার ভাগার। দৃশ্যটি বিশ্রী হলেও প্রতিদিনই এমন দৃশ্যই অনুভব করতে হয় ভূঞাপুর পৌরবাসীর। পচা আবর্জনার দুর্গন্ধ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
আর এমন পরিস্থিতি প্রায় এক যুগের বেশি দিন ধরে। দীর্ঘদিন ধরে পৌরবাসীর ব্যবহৃত ময়লা এবং পৌর কর্তৃপক্ষ গাড়িতে করে ময়লা এনে ফেলে এ ভাগারে। বর্তমানে রোডস্ এন্ড হাইওয়ের খ্যাত রাস্তার ওপরে ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা। এসব ময়লা আবর্জনা পচে দুর্গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।
শহরবাসীর অভিযোগ, নানা দফতরে অভিযোগ করে গত বছর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে কিছু দিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ থাকলেও সে বদলি হওয়ার পর থেকে আবার সেখানেই পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা শুরু হয়েছে। এনিয়ে সতেচন নাগরিক মহল, সুধীজন, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো ওই ময়লা ফেলা বন্ধে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েও স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহনাজ খাতুন ও আবির হোসেনসহ অনেকে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ কারো কথা শুনে না। এ এলাকার দুর্গন্ধে নাক-মুখ ঢেকে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। গন্ধে নিঃশ্বাস নেয়া যায় না, দম বন্ধ করে চলতে হয়। ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, শহরের যে স্থানটিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেটি পৌরবাসীসহ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি সমাধানে আমরা পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে অন্য কোথাও খাস জায়গা পাচ্ছি না। জনভোগান্তি লাঘবে খাস অথবা কোনো জায়গা ক্রয়ের মাধ্যমে হলেও তা দ্রুত স্থানান্তর করা হবে।