মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

ভূঞাপুরে ৩৩টি বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রনকারী কে???

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলার বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ সেলিমুজাম্মান তালুকদার সেলু বালু মহলের ৩৩টি ঘাটের প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন। সহযোগী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির কোষাদক্ষ মোঃ সোলায়মান হোসেন লিটন মন্ডল, নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম ও নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল। বালু মহলের ভূঞাপুর উপজেলার দায়িত্বে মোট ৪ জন বিএনপির নেতা। সরেজমিনে দেখা যায়, নিকরাইল, মাটিকাটা, সিরাজকান্দী, জিগাতলা এই এলাকায় বালু মহলের মোট ঘাট ২৪টি, গোবিন্দাসী ইউনিয়নে ৯টি ঘাট। দায়িত্ব প্রাপ্ত বালু মহলের ৪ জন নেতা ৩৩টি ঘাট কে গ্রুপ ভিক্তিক দায়িত্ব প্রদান করেন। বালু মহলের বালু ঘাট নিয়ন্ত্রণ ও ঘাট মালিক, হিসেবে ৬টি গ্রুপ করে দিয়েছেন। গ্রুপ এক রয়েছেন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আলম মন্ডল, উপজেলা তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসমত প্রামানিক, উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরকার শরীফ-এরা নিকরাইল মাটিকাটা ঘাটের দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রুপ দুই রয়েছেন, মোঃ মোহসিন তালুকদার দিপু, মোঃ রাজিব হোসেন তালুকদার কফিল, ভূঞাপুর উপজেলার যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আসলাম মেম্বার-এরা সিরাজকান্দীর ঘাট, জাহাজমারা ঘাট, ভাবীর ঘাট নামে পরিচিতি এখানে দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রুপ তিন রয়েছেন ভূঞাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন , ভূঞাপুর পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান গিয়াস-এরা খোকার ঘাট জিগাতলা এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন । গ্রুপ চার রয়েছেন মোঃ আসলাম, মোঃ হাসেম প্রামানিক, আব্দুল লতিফ এরা নূহূর ঘাট ও আশে পাশের দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রুপ পাঁচ রয়েছেন আকবর প্রামানিক, মুজাফর প্রামানিক, মোঃ আলম মন্ডল এটা নতুন ঘাট নামে পরিচিত। এরা এই ঘাটের মালিক ও দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রুপ ছয় রয়েছেন গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাকছুদ জামিল মিন্টু, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান শাহিন-এরা গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৯টি ঘাটের দায়িত্বে রয়েছেন। ৩৩টি ঘাটের দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকদের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত চার নেতা। এই টাকা দিয়ে ঘাট বঞ্চিত বিএনপির ৫০ জন নেতা এবং স্থানীয় প্রশাসন কে ৭৯ লাখ টাকা দিয়ে ঘাট পরিচালনা শুরু করেন। উত্তোলন কৃত অবশিষ্ট টাকা রয়েছে উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত চার নেতার কাছে। যদি কোন প্রশাসন বাধা দেন তাহলে সেখানে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ঘাট চালুর ব্যবস্থা করবেন। ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিমুজাম্মান তালুকদার সেলু বলেন- আমি বালুর ঘাটের সাথে জড়িত না। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপির লোকজন ঘাটগুলো চালায়। নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল বলেন, বালুর ঘাট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিমুজাম্মান তালুকদার সেলু। ভূঞাপুর সহকারী কমিশনার ভূমি ফাহিমা বিনতে আখতারকে ফোন দিলে বালুর ঘাট সর্ম্পকে তিনি বলেন, আমি একটি জরুরী মিটিংয়ে আছি। মিটিং শেষে ফোন দিব। তারপর একাদিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights