নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, “স্বৈরাচারকে বিদায় করেও আজকে আমাদের জেলায় জেলায় সমাবেশ করতে হচ্ছে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য। বাংলার জনগণ ভোট দিতে চায়। সংস্কারের গবেষণা নিয়ে ৬ মাস, ৬ বছর সময় চায় না জনগণ। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার এই সরকার সংরক্ষণ করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “এখন দেশের ক্রান্তিলগ্ন। জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলা চলবে না। মানুষ ভোট দিতে চায়, কারণ এ দেশের মানুষের রক্তে রয়েছে গণতন্ত্র। প্রায় ৫৪ বছর আগে গণতন্ত্র অধিকারের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, তাহলে সেই স্বাধীনতা মূল্যহীন। তাই আমরা ভোটাধিকার ফেরত চাই।”
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল মঈন খান বলেন, “বিএনপি বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করেছে, আমরা জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছি। সারা দেশে আমাদের ৫০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়েছিল।”
তিনি আরো বলেন, “জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকার ছাড়া দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। জনগণের দাবি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা।”
সমাবেশে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এজন্য ষড়যন্ত্র হয়। অনেক উপদেষ্টা উল্টাপাল্টা কথা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো কথা বলেন নির্বাচন নিয়ে। জনগণের দাবি অতিদ্রুত সংসদ নির্বাচনের। জাতিসংঘের রিপোর্ট জাতীয় পাঠ্য বইয়ে প্রকাশ করতে হবে। অনেকেই ফ্যাসিবাদকে তলে তলে সমর্থন দিচ্ছে। খুনের দোসররা এখনও ঘুরাফেরা করে। আমরা ফ্যাসিবাদের কোনো দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেব না। দোসরদের বিচার, হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে।”
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সাংগঠনিক সস্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজির আহম্মেদ টিটো, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাতীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক নাসির, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম ও কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম।