নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মুলিয়া, সহদেবপুর ও সাকরাইল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি রফিক বলেন, “তিন গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কালিহাতী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় দলীয়ভাবে সব কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, পৌর বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুল তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান লেলিন ও ইদ্রিস আলী, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ মেম্বার ও যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, বাংড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান গিয়াস।
গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের পীরবাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, বৈঠক চলাকালে শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ আহত হন। এ খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন।