নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ডাকাতির ঘটনায় মামলা করায় হামলার শিকার হচ্ছেন বিএনপির এক নেত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। রবিবার (৯ মার্চ) টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করেন এই নেত্রী। এ ঘটনায় রনকসহ (১৯) নামের এক যুবকসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি ও নাগরপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী জাহানারা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে তার বাড়িতে ডাকাতি হয়।
ডাকাতরা তাকে ও তার ছোট ছেলে জাহিদ হাসানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর এবং নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।তিনি জানান, জাহিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় ৫-৬ জনের একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর আবার হামলা করা হয়। এ সময় বড় ছেলে সিরাজ আল মাসুদ হামলা প্রতিহত করতে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
জাহানারা আক্তার বলেন, রনককে পুলিশে সোপর্দ করার পর থেকে ডাকাতরা নানা পরিচয়ে নানাভাবে (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মোবাইল) হুমকি দিতে থাকে।
ইতোমধ্যে সহবতপুর ইউনিয়নের বাবনাপাড়া গ্রামের কিরণ মিয়ার ছেলে ফাহাতকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতে ডাকাতরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে।
আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মামলার প্রধান আসামি এস এম মহিউদ্দিন মাহমুদ মোহন (তিনটি মামলার আসামি) প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গুলি করে মেরে লাশ গুমসহ নানা হুমকি দিচ্ছেন তিনি।